১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, শনিবার

সচিবালয়ে বৈঠকে বসেছেন পোশাক কারখানা মালিকরা

Advertisement

কঠোর বিধিনিষেধ চলাকালে রফতানিমুখী পোশাক শিল্পের সামগ্রিক পরিস্থিতি বিষয়ে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসানের নেতৃত্বে বিজিএমইএ নেতারা আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সঙ্গে তার সচিবালয় কার্যালয়ে বৈঠকে বসেছেন। বৈঠকে বিজিএমইএর কয়েকজন সাবেক সভাপতি, এফবিসিসিআই নেতৃবৃন্দ বিকেএমইএ ও বিটিএমএ’র নেতারাও উপস্থিত রয়েছেন।

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত ২৩ জুলাই থেকে কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হয়েছে; যা আগামী ৫ আগস্ট দিনগত রাত ১২টা পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৫ আগস্ট পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধে সব ধরনের শিল্পকারখানা বন্ধ থাকবে।

তবে গার্মেন্টস ব্যবসায়ীদের দাবি, এতে রফতানিমুখী তৈরি পোশাক খাত বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়ছে। তাই দেশের অর্থনীতির বৃহত্তর স্বার্থে তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে কারখানা খোলা রাখতে চান।

এর আগে গত ১৩ জুলাই দুপুরে বিধিনিষেধ সংক্রান্ত জারি করা প্রজ্ঞাপনে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জানায়, বিধিনিষেধে সব ধরনের শিল্প-কলকারখানা বন্ধ থাকবে। যদিও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপন জারির পর থেকেই পোশাক (গার্মেন্টস) কারখানা খোলা রাখার ব্যাপারে ব্যবসায়ীরা সরকারের বিভিন্ন মহলে দাবি জানিয়ে আসছিলেন। গার্মেন্ট কারখানা খোলা রাখার ব্যাপারে তারা প্রধানমন্ত্রীর কাছেও চিঠি দেন।

প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে ব্যবসায়ী নেতারা বলেন, পোশাক শিল্পের শ্রমিকেরা নিয়ম-শৃঙ্খলার মধ্যে কাজ করেন। দিনের অধিকাংশ সময় (মধ্যাহ্ন বিরতিসহ ১১ ঘণ্টা) কর্মক্ষেত্রে সুশৃঙ্খল ও স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশে থাকেন তারা। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ঈদের ছুটিসহ ১৮-২০ দিন কারখানা বন্ধ থাকলে গ্রীষ্ম, বড়দিন ও শীতের ক্রয়াদেশ হাতছাড়া হয়ে যাবে।

পোশাকশিল্প মালিকদের দুই সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ নেতাদের প্রত্যাশা ছিল, করোনা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হলে ১ আগস্ট থেকে কারখানা খোলার সুযোগ দেবে সরকার। এমন বার্তা নিজেদের সংগঠনের মধ্যেও ছড়িয়ে দিয়েছেন তারা। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেই দিয়েছেন- ৫ আগষ্টের আগে কারখানা খোলার কোন সুযোগ নেই।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement