১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, বুধবার

প্রধানমন্ত্রীকে হত্যাচেষ্টা মামলার রায় প্রকাশ

Advertisement

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় হত্যাচেষ্টা মামলায় নিম্ন আদালতের দেয়া ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। সোমবার সেই মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ পেতে যাচ্ছে।

চলতি বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি সংক্ষিপ্ত রায়টি দেন জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ। তবে এরমধ্যেই ৮৬ পৃষ্ঠার সম্পূর্ণ রায় লিপিবদ্ধ সম্পন্ন হয়েছে। সম্পূর্ণ রায়টি লেখা হয়েছে বাংলায়।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মোহাঃ বশিরউল্লাহ সাংবাদিকদের জানান, ৯ই আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে পুর্ণাঙ্গ রায়টি উন্মুক্ত করে দেয়া হতে পারে। এর আগে, ২০০০ সালে কোটালিপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য আয়োজিত জনসভায় ৭৬ কেজি ওজনের বোমা পাওয়া যায়। পরে গপালগঞ্জে আরো একটি ৮০ কেজি ওজনের বোমা পাওয়া গেলে এ ঘটনায় আলাদা দুইটি মামলা দায়ের হয়।

২০১৭ সালে উক্ত দুই মামলার একটিতে ১০ আসামীকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করে ঢাকার দ্রুত বিচার আদালত নং ০২। জঙ্গি নেতা মুফতি আব্দুল হান্নানের অন্য মামলায় ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় এ মামলা থেকে তাকে বাদ দেওয়া হয়।

মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা আসামিরা হলেন- ওয়াসিম আখতার ওরফে তারেক হোসেন ওরফে মারফত আলী, মো. রাশেদ ড্রাইভার ওরফে আবুল কালাম ওরফে শিমন খান, মো. ইউসুফ ওরফে আবু মুসা হারুন ওরফে মোসাহাব মোড়ল, শেখ ফরিদ ওরফে মাওলানা শওকত ওসমান, হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম বদর, মাওলানা আবু বক্কর ওরফে হাফেজ সেলিম হাওলাদার, হাফেজ মাওলানা ইয়াহিয়া, মুফতি শফিকুর রহমান, মুফতি আবদুল হাই ও মাওলানা আবদুর রউফ ওরফে আব্দুর রাজ্জাক ওরফে আবু ওমর।

আসামি মেহেদী হাসান ওরফে আব্দুল ওয়াদুদ ওরফে গাজী খানের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং আসামি আনিসুল ইসলামের ১৪ বছরের দণ্ড বহাল রেখেছেন উচ্চ আদালত।

এছাড়াও সরোয়ার হোসেন মিয়া নামে একজনকে খালাস দেয়া হয়েছে । পাশাপাশি মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমানের ১৪ বছরের কারাবাস হয়ে যাওয়ায় জেলকোড অনুসারে মুক্তি পেতে পারেন।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement