প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশে কোন মানুষ গৃহহীন থাকবে না। বর্তমান সরকার গণমানুষের সরকার। এই সরকার দেশের দরিদ্র, গৃহহীন ও ভূমিহীন প্রতিটি মানুষকে মাথা গোঁজার ঠাঁই দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে।
আজ মঙ্গলবার সকোলে বস্তিবাসী ও সরকারি কর্মচারীদের জন্য নির্মিত আধুনিক ফ্ল্যাট হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এর উদ্বোধন করেন তিনি। এ সময় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে নির্বাচিত ৩ জন উপকারভোগী বস্তিবাসীর হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে বরাদ্দপত্র তুলে দেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ।
এই প্রকল্পে সাড়ে ৪ হাজার টাকা মাসিক ভাড়ায় থাকার সুবিধা দিয়ে বস্তিবাসীর জন্য তৈরি আধুনিক ৩০০ ফ্ল্যাট হস্তান্তর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া সরকারি কর্মচারীদের জন্যও ২ হাজার ৪৭৪ ফ্ল্যাট হস্তান্তর করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশে ভূমিহীনদের ঘর করে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। প্রায় সাড়ে তিন বছর একটা রাষ্ট্রের জন্য কম সময়। সেটা তখন একটা প্রদেশ ছিল, তখন তা দেশে উন্নীত ও তার গঠন করা; এটা তিনি করে গেছেন। তবে কিছু বেইমান-মুনাফেকের জন্য তার ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গঠন সম্ভব হয়নি। তিনি তার জীবন দেশের জন্য উৎসর্গ করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা সবসময় একটি কথাই বলতেন, ‘আমার জীবনের একমাত্র কামনা বাংলাদেশের মানুষ অন্ন পাবে, বস্ত্র পাবে, তারা উন্নত জীবনের অধিকারী হবে। বাংলাদেশের মানুষ রোগে-শোকে ছিল। শিক্ষা না পেয়ে মূর্খতার অন্ধকারে ডুবে ছিল। বঙ্গবন্ধুর মূল লক্ষ্য ছিল মানুষের ভাগ্যোন্নয়ন করা। সেজন্য ছাত্রজীবন থেকেই বঙ্গবন্ধু সংগ্রাম করেছেন। রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবি থেকে তিনি ধাপে ধাপে জাতিকে মুক্ত ও স্বাধীন করেছেন। আর এই দাবির সংগ্রামের মধ্যেই তাকে জেলে নিয়েছে, নির্যাতন করেছে, হত্যা করতে চেয়েছে।