১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, রবিবার

জাতি গঠনে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক চর্চা অপরিহার্য: প্রধানমন্ত্রী

Advertisement

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘একটা জাতিকে গড়ার জন্য শিক্ষা, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক চর্চা অপরিহার্য।’

আজ বৃহস্পতিবার ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭২তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন ও শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার-২০২১ প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ক্রীড়া পুরস্কারের মধ্য দিয়ে যেমন শেখ কামালের প্রতি সম্মান দেখানো হয়েছে, তেমনি ক্রীড়াঙ্গনে মানুষের সম্পৃক্ততা আরও বাড়বে, উৎসাহী হয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে এবং বিশ্বসভায় মর্যাদা বয়ে আনেব-সেটাই কাম্য।’

ছোট ভাই শেখ কামালের স্মৃতিচারণ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘কামাল আমার ছোট ভাই। এক সঙ্গে বড় হয়েছি, এক সঙ্গে চলতাম। খেলাধুলা, পড়ালেখা ও ঝগড়াও করেছি। ভালো বোঝাপড়া ছিল আমাদের মধ্যে। যে কোনো কাজে আমার সঙ্গে পরামর্শ করত। একরকম নির্ভর করত আমার ওপর। বাবার স্নেহ থেকে সে বঞ্চিত ছিল। যার কারণে মনে অনেক আক্ষেপ ছিল। আব্বা তাকে আদরও করতেন বেশি। কামালের অনেক গুন ছিল। সে যে কাজেই হাত দিত, সেখানে তার মেধার স্বাক্ষর রেখে আসত।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কামাল সেতার বাজানো শিখতো, সে চর্চা সে রেখে গিয়েছিল। পাশাপাশি চমৎকার নাটক করতে পারত। ঢাবিতে পড়তে অনেক নাটক করেছে। ক্রীড়া জগতে তার অবদান অনেক। আবাহনী ক্রীড়াচক্র গড়ে তোলে। ধানমণ্ডি অঞ্চলের শিশু ও কিশোরদের খেলাধুলার জন্য এই চক্র গড়ে তোলে কামাল।’

সরকার প্রধান বলেন, ‘কামাল ঘরে ঢুকলে গান গাইতে গাইতে আসত। বোঝা যেত কামাল আসছে। স্পন্দন শিল্পীগোষ্ঠী সে গড়ে তোলে। ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের রাজনীতি করত। অদ্ভুত সাংগঠনিক দক্ষতা ওর মধ্যে ছিল। ঢাবিতে ছেলে-মেয়ে সবাই মিলে একসঙ্গে চলতে পারায় কামালের অবদান আছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাবাকে তো প্রায় গ্রেফতার করা হতো। ছয়দফা দেওয়ার পর কামালের আন্দোলনের ভূমিকা ছিল উল্লেখযোগ্য। আসলে আজকে আমাদের সঙ্গীতাঙ্গনে যে আধ্যাত্মিক বা ফোক গান আধুনিক সঙ্গীতের সঙ্গে সুর করে প্রচার করা হয়, এতে কামালের অবদান ছিল। আজকে যেটি প্রাসঙ্গিক। উপস্থিত বক্তৃতায়ও কামাল পারদর্শী ছিল।’

সভায় সভাপতির বক্তব্য দেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। এসময় দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে ক্রীড়া পুরস্কার দেওয়া হয়।

ক্রীড়াবিদ হিসেবে রোমান সানা (আরচ্যারি), মাবিয়া আক্তার সীমান্ত (ভারত্তোলন), মাহফুজা খাতুন শিলা (সাঁতার), ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে মনজুর কাদের (শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব) এবং ক্যা শৈ ল হ্ন (কারাতে ফেডারেশন), উদীয়মান ক্রীড়াবিদ হিসেবে আকবর আলী (ক্রিকেট) ও ফাহাদ রহমান (দাবা), উন্নতি খাতুন (ফুটবল), ফেডারেশন/অ্যাসোসিয়েশন/সংস্থা ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড, আজীবন সম্মাননায় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন এবং ক্রীড়া সাংবাদিক হিসেবে মুহাম্মদ কামরুজ্জামান এবং পৃষ্ঠপোষক হিসেবে ওয়ালটন শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার লাভ করে। পুরস্কার হিসেবে প্রত্যককে এক লাখ টাকা, ক্রেস্ট ও সম্মাননা সনদ দেওয়া হয়।

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আক্তার হোসেন অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ দেন এবং প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তিনিই বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement