ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে ফরিদপুরের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। পানি বৃদ্ধির ফলে ফরিদপুরের পদ্মায় এখন বিপদসীমার ২৫ সে.মিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
গত ২৪ ঘন্টায় বেড়েছে ১০ সেন্টিমিটার। এভাবেই পানি বাড়ছে কয়েক দিন ধরে। এতে জেলার ৫ উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের নিন্মাঞ্চলের প্রবেশ করছে বন্যার পানি। তলিয়ে যাচ্ছে ক্ষেতে ফসলসহ চরের রাস্তাঘাট।
নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তাকুজ্জামান মোস্তাক বলেন, পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে গত তিন দিনে আমার ইউনিয়নের ১০টি গ্রামের প্রায় ৯শতাধিক পরিবার পানিবন্ধী হয়ে পড়েছে। পানিবন্ধী মানুস গুলো মানবেতর জীবন যাপন করছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনো কাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এচাড়াও ২/১দিনের মধ্যে থেকে পানিবন্ধী মানুষের মাঝে ত্রান সামগ্রী বিতরণ করা হবে।
এই ইউনিয়নের (ডিগ্রীরচর) চেয়ারম্যান মেহেদী হাসার মিন্টু ফকির জানালেন, যে ভাবে পানি বাড়ছে তাতে চরের মানুষের চরাফেরা, পবাদি পশুর খাবারসহ নানা সমস্যা পড়তে হচ্ছে।
তিনি বলেন, পদ্মায় পানি বৃদ্ধিও হার যদি এভাবে থাকে তাহলে দুই/একদিনের মধ্যে অনেক পরিবারকে বেড়ি বাধেঁ নিয়ে আসতে হবে। তিনি দাবি করে করেন তার ইউনিয়নের অধিকাংশ জায়গায় পানি উঠেছে।
ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ জানান, এভাবে পানি আরো দুই/তিন দিন বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি জানান, জেলার মধুমতি ও আড়িয়াল খার যে সব স্থানে নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে সে স্থান গুলোতে আমরা বালু বস্তা ফেলার কাজ শুরু করেছি।
এদিকে পানি বন্দি মানুষের বিষয়ে জেলা প্রশাসক অতুল সরকার জানিয়েছেন, সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানদের নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা নিয়মিত খোঁজ খবর রাখছেন। যে খানে খাদ্য সহায়তার প্রয়োজন হবে সেখানেই পৌছে যাযে প্রয়োজনীয় দ্রব্য।
আমরা এই মৌসুমের পানি কথা বিবেচনা নিয়ে আগে থেকে প্রস্তুতি রয়েছে। যে কোনো সমস্যা মোকাবেলা করা যাবে।
ফরিদপুর প্রতিনিধি/সারাবাংলা