ফরিদপুর সদরের কানাইপুরের রনকাইল গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় হামলাকারীরা কয়েকটি বসত বাড়ি ভাংচুর করেছে। এ ঘটনায় ৭ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার ১১ আগস্ট সন্ধ্যায় কোতয়ালী থানায় অফিসার ইনচার্জ এম.এ জলিল সংঘর্ষে লিপ্ত উভয় পক্ষের ৫ জন করে মোট ১০ জনকে হাজির হওয়ার আহ্বান জানান। তবে এই নির্দেশনা অমান্য করে বিকাল ৪টার দিকে বিএনপি নেতা কামরুল মাতুব্বর ও মুশা মোল্লা, ফজলু কাজী এর নেতৃত্বে ৮নং ওয়ার্ডের প্রবীন আওয়ামীলীগ নেতা হাসেম মোল্লার বাড়িতে হামলা ও বাড়ী ভাংচুরের ঘটনা ঘটায়।
এই হামলায় মৃত: হাসেম মোল্লার ছেলে মিরাজ মোল্লাকে (৩৫) বেধড়ক মারপিট ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে নির্দয়ভাবে রক্তাক্ত জখম করে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৭ জন আহত হয়। আহতরা ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
বুধবার বিকালে সরেজমিনে গিয়ে প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা যায়, কানাইপুর ইউনিয়নের রনকাইল গ্রামের সোহরাব শেখ এবং জাকির নামে দুই ব্যক্তির বসত বাড়িতে হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে বিএনপি’র ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী আলতাফ মাতুব্বরের লোকজন।
এর জের ধরে বিএনপির কামরুল মাতুব্বর ও আলতাফ মাতুব্বরের সমর্থকদের সাথে প্রবীন আওয়ামীলীগ কর্মী সালামের সমর্থকদের মধ্যে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষ হয়।
সংবাদ পেয়ে কোতোয়ালি থানা পুলিশ সহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অন্যান্য সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
এ বিষয়ে কানাইপুর ইউপি চেয়ারম্যান ফকির মোঃ বেলায়েত হোসেন কেটিভি প্রতিদিনকে বলেন, রনকাইল গ্রামে একটি জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিরোধ হয়। আমি ইতি পূর্বে একাধিকবার পুলিশ প্রশাসনের সহযোগীতায় মারামারি/দাঙ্গা-হাঙ্গামা বাড়তে দিইনি। কোন হতাহত হওয়ার আগেই আমি ও পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে এনেছি। এবারও সময়মত পুলিশ হাজির না হলে হয়তো বড় কোন দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো।
সারাবাংলা/ফরিদপুর প্রতিনিধি