সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় একটি রিট আবেদন দায়ের করা হয়েছে ফোনে আড়িপাতা বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে। আজ মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো.মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ রিট দায়ের করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবীর পক্ষে এ রিট দায়ের করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। সে রিটে বিবাদী করা হয়েছে ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি)।
এর পূর্বে গত ২২ জানুয়ারি এ বিষয়ে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের এই ১০ আইনজীবী। তারা হলেন- রেজওয়ানা ফেরদৌস, শাহ নাবিলা কাশফী, ফরহাদ আহমেদ সিদ্দীকী, উত্তম কুমার বণিক, মোহাম্মদ নওয়াব আলী, মোহাম্মদ ইবরাহিম খলিল, মুস্তাফিজুর রহমান, জি এম মুজাহিদুর রহমান (মুন্না), ইমরুল কায়েস ও একরামুল কবির। উক্ত নোটিশে ফোনালাপে আড়িপাতা প্রতিরোধে আইন অনুযায়ী বিটিআরসি কী পদক্ষেপ নিয়েছে তা জানতে চাওয়া হয়েছে। সে নোটিশে ২০১৩ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ১৬টি আড়িপাতার ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ফোনালাপ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার সংলাপ, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ফোনালাপ, প্রয়াত সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ ও রাজশাহী মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার নাজমুল হাসানের। বাংলাদেশের গণমাধ্যমে এসব আড়িপাতার ঘটনা বহুল প্রচারিত হয়। সে সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ভাইরাল হয়।
রিটে আরও বলা হয়, সার্বজনীন মানবাধিকার সনদপত্র, নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক চুক্তি অনুযায়ী পৃথিবীর সব আধুনিক ব্যবস্থায় ব্যক্তিগত গোপনীয়তার অধিকার স্বীকৃত ও সংরক্ষিত। সে ধারাবাহিকতায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৪৩ অনুচ্ছেদে চিঠিপত্র ও যোগাযোগের অন্যান্য উপায়ের গোপনীয়তা সংরক্ষণ নাগরিকের মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি পায়।