২৫ এপ্রিল, ২০২৫, শুক্রবার

কক্সবাজারকে ঘিরে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করছি: প্রধানমন্ত্রী

Advertisement

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কক্সবাজারকে ঘিরে নানা স্বপ্ন দেখতেন। নানা পরিকল্পনাও করেছিলেন। এমনকি তিনি ঝাউবন স্থাপন করেছেন। তার রেখে যাওয়া পরিকল্পনা এখন বাস্তবায়ন করছি। কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ে সম্প্রাসরণ সে পরিকল্পনারই অংশ। রোববার (২৯ আগস্ট) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রানওয়ে সম্প্রসারণ কাজের উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারের আলাদা পরিকল্পনা রয়েছে কক্সবাজারকে ঘিরে। কক্সবাজারকে সিঙ্গাপুর, ব্যাংককের আদলে সাজানো হবে। চলমান রয়েছে ইকোট্যুরিজমের কাজ, রেললাইনও আসছে। আবার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হলে দিন-রাত ফ্লাইট চলবে। দৃশ্যমান হলেই বিশ্ব দরবারে অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে যাবে কক্সবাজার। 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, ১৯৯৬ সালের পরের সরকার বঙ্গবন্ধুকে কটাক্ষ করত। যার ফলে তারা কক্সবাজারকে ঘিরে কিছুই করেনি। এমনকি নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল তারা। আর সেখান থেকে নতুন করে কক্সবাজারকে ঘিরে পরিকল্পনা হাতে নেই। ধীরে ধীরে সবই দৃশ্যমান হচ্ছে।

কক্সবাজারকে আধুনিক পর্যটন শহর করার পরিকল্পনার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দীর্ঘ মেরিন ড্রাইভ সড়ক ইতোমধ্যে গড়ে উঠেছে। সড়কটিকে চট্টগ্রামের মিরসরাই পর্যন্ত সম্প্রসারণের কাজ চলছে। আবার রেললাইনের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। পৌঁছে গেছে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরও। এগুলো সম্পূর্ণ বাস্তবায়িত হলে এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছাবে কক্সবাজার- যেমনটা চেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

তখন কক্সবাজার থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন- বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোকাম্মেল হোসেন, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন, ট্যুরিস্ট পুলিশ চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মোখলেছুর রহমান এবং কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মামুনুর রশীদ।

বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) জানায়, এখন কক্সবাজার বিমানবন্দরে ৯ হাজার ফুট দীর্ঘ একটি রানওয়ে রয়েছে। যা ১০ হাজার ৭০০ ফুটে উন্নীত করার কাজ চলছে। তার মধ্যে ১ হাজার ৩০০ ফুট থাকবে সমুদ্রের মধ্যে। এই রানওয়ে কক্সবাজার বিমানবন্দরের মহেশখালী চ্যানেলের দিকে জমি অধিগ্রহণের মাধ্যমে সম্প্রসারিত হচ্ছে। নতুন প্রজন্মের উড়োজাহাজ বোয়িং-৭৭৭-৩০০ ইআর, ৭৪৭-৪০০ ও এয়ারবাসের মতো উড়োজাহাজ সহজেই ওঠানামা করতে পারবে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে। প্রকল্পটিতে ব্যয় হচ্ছে এক হাজার ৫৬৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। যার সম্পূর্ণ অর্থায়ন করছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement