টানা বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে কুড়িগ্রামের এখনো বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। প্লাবিত নিম্নাঞ্চলগুলোতে মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ২১ জুন মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ধরলা নদীর সেতু পয়েন্টে পানি বেড়ে বিপদসীমার ৪৬ সে.মি, দুধকুমার ২৯ সে.মি এবং ব্রহ্মপুত্র নদের চিলমারী পয়েন্টে সামান্য বেড়ে বিপদসীমার ৪৮ সে.মি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি না কমার ফলে নদ-নদীর অববাহিকার কয়েক শতাধিক চর ও দ্বীপচরের নিম্নাঞ্চলের বানভাসীদের দুর্ভোগ কমেনি। জেলার ৯ উপজেলার ৫০টি ইউনিয়নের ২৮৪টি গ্রামের দুই লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে কষ্টে রয়েছেন। দুর্গত এলাকায় খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি ও গো-খাদ্যের সংকট তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। প্রায় দেড় শতাধিক প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। বানভাসীরা উঁচু স্থান, স্কুল ঘর এবং আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানিয়েছেন, ত্রাণ সহায়তার কোনো সংকট হবে না। ইতোমধ্যে ৯ উপজেলায় ১৮ লাখ টাকা ও ৪০০ মে.টন চাল দেওয়া হয়েছে।