বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার নতুনহাট এলাকায় গভীর রাতে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে এক নারীকে গলাকেটে করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। দুর্বৃত্তদের হামলায় ওই পরিবারের আরো দুইজন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে নিহতের স্বামীকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে স্থানীয়রা। পূর্ব বিরোধের জের ধরে ওই নারীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে সন্দেহ স্বজনদের। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বিচার দাবি করেছেন তারা। বিষয়টি তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহতের নাম মারুফা আক্তার (২৮)। তিনি ওই গ্রামের মিলন খানের স্ত্রী এবং দুই সন্তানের জননী। প্রায় ১০ বছর আগে প্রথম স্ত্রীকে তালাক দিয়ে মারুফাকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন মিলন। প্রথম দাম্পত্যে একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
নিহতের স্বজনরা জানান, গত সোমবার দিবাগত রাত ১টার দিকে ৬ জনের এক দল মিলন খানের ঘরের পেছনের দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে অস্ত্রের মুখে পরিবারের সকলকে জিম্মি করে। এসময় তারা মারুফাকে কুপিয়ে এবং গলাকেটে হত্যা করে। তার স্বামী মিলন খানকে হাত-পা বেঁধে কুপিয়ে আহত করে। মারুফার ভাতিজি জুয়েনা আক্তারকে মারধর করে তারা। এ ঘটনার এক পর্যায়ে মারুফার শিশু ছেলে মিরাজ খান প্রতিবেশীদের ঘরে গিয়ে বিষয়টি জানায়। প্রতিবেশীরা লাঠি সোটা নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। এসময় হাত-পা বাঁধা আহত মিলনকে উদ্ধার করে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেলে প্রেরণ করে তারা।
এদিকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মঙ্গলবার সকালে মারুফার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল মর্গে প্রেরণ করে।
বরিশালের বাকেরগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ফরহাদ সরদার জানান, সব কিছু বিবেচনায় নিয়েই তদন্ত করছে পুলিশ। এ ঘটনার ক্লু উদঘাটনসহ অভিযুক্ত হত্যাকারীদের দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেফতারে পুলিশ চেষ্টা করছে বলে তিনি জানান।