বরিশাল বিভাগে ছয়টি হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪ জনের মৃত্যুর কথা জানা যায়। এর মধ্যে উপসর্গ নিয়ে ৬ জন এবং করোনায় ৮ জন মারা যান। এই ২৪ ঘণ্টা সময়ে করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৩২২ জন। আরটি-পিসিআর ল্যাবে এই দিন শনাক্তের ছিল হার ৫৬ দশমিক ২১ শতাংশ।
আজ শনিবার (৩১ জুলাই) শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের কার্যালয় এবং বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে এই তথ্য নিশ্চিত হওয়া যায়।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস জানান যে, জেলাভিত্তিক করোনা সংক্রমণ তথ্যানুযায়ী এ সময় সবচেয়ে বেশি শনাক্ত ছিল বরিশাল জেলায়- ১১৯ জন। এ পর্যন্ত এই জেলায় আক্রান্ত হিসেবে মোট শনাক্ত হয়েছেন ১৩ হাজার ৮৮০ জন। আর সুস্থ হয়েছেন ৭ হাজার ৫৮৪ জন। ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া নতুন দুইজন নিয়ে এ জেলায় মোট মৃত্যু সংখ্যা ১৫৬ জন।
পটুয়াখালী জেলায় নতুন ২৮ জন নিয়ে জেলায় মোট শনাক্ত হয়েছেন ৪ হাজার ২৮০ জন। ২৪ ঘণ্টায় একজন নিয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৮১ জন; সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৬৪৫ জন।
ভোলা জেলায় নতুন ১৫৯ জন নিয়ে মোট শনাক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৮১৭ জন। ২৪ ঘণ্টায় দুইজন নিয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৩৩ জন; সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৪০৬ জন।
পিরোজপুরে নতুন ৯ জন নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৩২৭ জন। ২৪ ঘণ্টায় কেউ মারা যাননি সেখানে। এ জেলায় এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৭২ জন; সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৬৪৯ জন।
বরগুনায় নতুন একজন সহ মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ৮৫৭ জন। ২৪ ঘণ্টায় এ জেলায় কারো মৃত্যু না হলেও মোট মারা গেছেন ৬৬ জন। সেখানে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৬৮৫ জন।
ঝালকাঠি জেলায় নতুন ৬ জন নিয়ে মোট শনাক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৯৮৩ জন। ২৪ ঘণ্টায় নতুন তিনজন সহ এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৬১ জন; সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৯৯০ জন।
মৃতদের মধ্যে ৬ জন উপসর্গ নিয়ে এবং ২ জন শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতারের করোনা ইউনিটে মৃত্যুবরণ করেন। মারা যাওয়া অন্যান্যদের মধ্য ভোলা জেলা সদর হাসপাতালে এবং রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুইজন করে ছিলেন। এছাড়া বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন এবং ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন ছিলেন।
শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের তথ্য সংরক্ষক- জাকারিয়া খান স্বপন জানিয়েছেন যে, বিগত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের আইসোলেশনে নতুন ৩৩ জন ভর্তি হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে থেকে উপসর্গ নিয়ে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে এখন ৩৪০ জন চিকিৎসাধীন রোগী আছেন। তাদের মধ্যে ১৪৩ জনের করোনা পজিটিভ আর ১৯৭ জন আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন। গত ২৪ ঘণ্টায় আরটি-পিসিআর ল্যাবে ২০২ জনের নমুনা পরীক্ষা করানো হয়। নমুনা পরীক্ষায় ১১৩ জনের করোনা পজিটিভ ও ৭২ জনের করোনা নেগেটিভ আসে।
প্রসঙ্গত, এর আগের দিন (বৃহস্পতিবার) ২৪ ঘণ্টার তথ্যানুযায়ী এ বিভাগে করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হয়েছিল ১৬ জনের। সে দিন আরটি-পিসিআর ল্যাবে শনাক্তের হার ছিল ৪২ দশমিক ৭০ শতাংশ। এবং আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছিলেন ৭৩৮ জন।
বরিশাল বিভাগের প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় ২০২০ সালের ৯ মার্চ। সেই থেকে শনিবার (৩১ জুলাই) সকাল ৮টা পর্যন্ত বিভাগের ৬ জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ৩৩ হাজার ১৪৪ জনের। এছাড়া বিভাগে মোট মৃত্যু সংখ্যা ৪৬৯ জন এবং মোট সুস্থ মানুষের সংখ্যা ১৮ হাজার ৯৫৯ জন।