অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বাংলাদেশের জয় অধরাই ছিলো কয়েক ঘণ্টা আগে। কিন্তু মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে নতুন ইতিহাস গড়লো বাংলাদেশ। অজিদের ২৩ রানে হারিয়ে বিশ্ব ক্রিকেটে নতুন সূর্যের উদয় করে মুশফিক-তামিম বিহীন টায়গাররা। সবচাইতে বড় কথা এই ম্যাচে জুনিয়র টাইগাররা ভেল্কি দেখিয়েছেন। দেখিয়েছেন তাদের সামর্থ্য। ম্যাচের দ্বিতীয় বলে স্টাককে যেভাবে ছক্কা হাঁকিালেন নাঈম তাতে মনেই হয়েছিলো, অজি বোলারদের একেবারেই সাধারণ মানে নামিয়ে এনেছেন তিনি। পরে আফিফও ২৩ রানের দারুণ একটি ইনিংস খেলেছেন। বল হাতে সাকিবেই যখন পুরোনো ভরসা, তখন শূন্য রানে অ্যালেক্স ক্যারিকে প্যাভিলিয়নে পথ দেখিয়ে নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ দিলেন মেহেদী হাসান। তার পরের গল্পটা শুধুই নাসুমের।
এক ম্যাচে টাইগারদের এই অর্জন গুলোই ইতিহাস গড়তে সহযোগিতা করেছে বাংলাদেশকে, এমন কথা বলাই যায়। তাইতো দলের খেলোয়াড়দের এমন অর্জনে চুপ থাকেননি মুশফিকুর রহিম। ম্যাচ জয়ের সাথে সাথেই নিজের ফেসবুক পেজে লিখেছেন, “কী দারুণ ঘুরে দাঁড়ানো, কী দারুণ নিজেদের আসল চেহারা তুলে ধরা”। পুরো দলকে জয়ের শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন তিনি।
এই জয়ের পর নিজের ফেসবুক পেজে স্ট্যাটাস দিয়েছেন সাকিব-মুশফিকদের গুরু নাজমুল আবেদিন ফাহিম, তিনি লিখেছেন “এটাকেই বলে টিম ওয়ার্ক। এই দলগত চেষ্টাই নিজেদের স্বপ্ন পূরণে সহযোগিতা করে”।
তামিম ইকবাল খান তার ফেসবুকে টাইগারদের শুভেচ্ছা জানিয়ে লিখেছেন, টাইগাররা অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজে লিড নিয়েছে । তার পোস্টের নিচে শুভেচ্ছা জানিয়েছে অসংখ্য ভক্ত। এদিকে বাংলাদেশের এই সাফল্যে দলকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীও।
এদিকে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ফেসবুক পেজে লেখা হয়েছে, বাংলাদেশ নিজের দেশে সবসময়ই দারুণ কিন্তু সবচাইতে ভালো খবর দ্বিতীয় টি টোয়েন্টি শুরু হতে মাত্র কয়েক ঘণ্টা বাকি।
দেশের সাধারণ মানুষ তো এই জয়কে বিশ্বাসই করতে পারছে না। প্রথমেই ধরে নিয়েছিলো এত কম রানের টার্গেট দিয়ে অজিদের বিপক্ষে ম্যাচ জেতা প্রায় অসম্ভব। কিন্তু সেই অসম্ভবকে সম্ভব করেছে নাসুম-সাকিবরা। তাই ম্যাচ শেষেই নিজেদের ফেসবুকে বিভিন্ন ভাবে শুভেচ্ছা জানিয়েন তারা। বেশিরভাগ দর্শকই লিখেছেন করোনার কারণে বাংলাদেশ এসে নাটকে মেতেছিলো অস্ট্রেলিয়া কিন্তু বাংলাদেশের দেওয়া মাত্র ১৩১ রানই করতে পারলো না তারা। তাহলে এত ভাব নিয়ে কি লাভ হলো বলেন!