২১ জানুয়ারি, ২০২৫, মঙ্গলবার

দেড় বছর ঋণের কিস্তি না দিলেও খেলাপি নয়

Advertisement

আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে নেওয়া হাউস বিল্ডিং ঋণ ১৮ মাস পরিশোধ না করলেও গ্রাহককে খেলাপি বলা যাবে না। অনাদায়ী কিস্তির মেয়াদ দেড় বছরের বা ১৮ মাসের বেশি হলে খেলাপির প্রাথমিক স্তর অর্থাৎ ‘নিম্নমান’ ধরা হবে। এটি ৩৬ মাস বা তিন বছর পার হলে ‘মন্দ’ মানের খেলাপি ঋণ হিসেবে বিবেচিত হবে।

সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ ব্যাংক-বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ ও লিজ শ্রেণিকরণ এবং সংস্থান সংরক্ষণের বিষয়ে মাস্টার সার্কুলার জারি করেছে। যা আগামী সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হবে।

দেশের সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো ওই সার্কুলারে বলা হয়, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ, খেলাপি এবং প্রভিশন সংক্রান্ত বিভিন্ন দিক অধিকতর সময়োপযোগী ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করার জন্য এ সার্কুলার জারি করা হয়েছে। স্বল্পমেয়াদি ঋণ, লিজ ফাইন্যান্স, মেয়াদি ঋণ ও গৃহায়ন ঋণের ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে খেলাপির প্রতিবেদন তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মার্চ, জুন, সেপ্টেম্বর ও ডিসেম্বর ভিত্তিক এসব তথ্য পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত শাখায় জমা দিতে বলা হয়েছে।

নির্দেশনা অনুযায়ী, ১২ মাসের মধ্যে সম্পূর্ণ পরিশোধযোগ্য ঋণকে ‘স্বল্পমেয়াদি’, মেশিনারি যন্ত্রপাতি, মোটর গাড়ি ও অন্যান্য সম্পদ কেনার উদ্দেশ্যে নির্ধারিত মেয়াদ ভিত্তিক ঋণকে ‘লিজ ফাইন্যান্স’, নির্দিষ্ট শিডিউল ও মেয়াদে পরিশোধযোগ্য সকল ধরনের ঋণকে ‘মেয়াদি ঋণ’ এবং আবাসন ব্যবসার উদ্দেশ্যে গৃহ, প্লট ও অ্যাপার্টমেন্ট কেনার জন্য ঋণকে ‘গৃহায়ন ঋণ’ নামে উল্লেখ করা হয়েছে।

স্বল্পমেয়াদি ঋণের ক্ষেত্রে তিন মাসের অধিক এবং ছয় মাসের কম সময় অপরিশোধিত ঋণকে ‘নিম্নমান’, ছয় মাসের অধিক কিন্তু নয় মাসের কম অপরিশোধিত ঋণকে ‘সন্দেহজনক’ এবং নয় মাসের অধিক সময় ধরে অপরিশোধিত স্বল্পমেয়াদি ঋণকে ‘মন্দ’ বা ক্ষতি মানের খেলাপি হিসেবে বিবেচিত হবে।

লিজ ফাইন্যান্সের ক্ষেত্রে ছয় মাসের অধিক কিন্তু ১২ মাসের কম অপরিশোধিত ঋণকে ‘নিম্নমান’, ১২ মাসের অধিক কিন্তু ১৮ মাসের কম অপরিশোধিত ঋণকে ‘সন্দেহজনক’ এবং ১৮ মাসের অধিক সময় ধরে অপরিশোধিত ঋণকে ‘মন্দ’ মানের ঋণ হিসেবে বিবেচনা করতে হবে।

পাঁচ বছরের বেশি মেয়াদের গৃহায়ন ঋণের ক্ষেত্রে ১৮ মাসের অধিক কিন্তু ২৪ মাসের কম অপরিশোধিত ঋণকে ‘নিম্নমান’, ২৪ মাসের অধিক কিন্তু ৩৬ মাসের কম অপরিশোধিত ঋণকে ‘সন্দেহজনক’ এবং ৩৬ মাস বা তিন বছরের অধিক অপরিশোধিত ঋণকে ‘মন্দ’ মানের ঋণ হিসেবে বিবেচনার নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

শ্রেণিকৃত ঋণ ও লিজের বিপরীতে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর নির্ধারিত হারে সংস্থান সংরক্ষণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নিম্নমানের ঋণের জন্য ২০ শতাংশ, সন্দেহজনক হলে ৫০ শতাংশ এবং মন্দ ও ক্ষতিজনিত ঋণ ও লিজের বিপরীতে ১০০ শতাংশ অর্থ সংরক্ষণ করতে হবে।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement