পার্বত্য বান্দরবান জেলার চার উপজেলায় দেখা দিয়েছে বন্যা, টানাবৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢল । তাতে বান্দরবান সদর, লামা, নাইক্ষ্যংছড়ি এবং আলীকদম উপজেলায় পানিতে তলিয়ে গেছে কয়েকশ ঘরবাড়ি। আজ (২৯ জুলাই) বৃহস্পতিবার তৃতীয় দিনের মতো পাহাড়ি ঢলে সড়কে ধস, পাহাড়ধস অপরদিকে বন্যার পানিতে সড়ক ডুবে গিয়ে এলাকাগুলোতে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন রয়েছে ।
অপর দিক দিয়ে অব্যাহত ভারি বর্ষণে বান্দরবানে সাঙ্গু, মাতামুহুরী এবং বাকখালী এই তিনটি নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার কারণে প্লাবিত এলাকাগুলোতে বন্যার পানি ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়েই চলছে। এমতাবস্থায় জেলা সদরের বিভিন্ন স্থান শেরেবাংলানগর, ইসলামপুর, বনানী সমিল এলাকা, আর্মিপাড়া, লামা উপজেলার হাসপাতালপাড়া, মধুঝিরি, বাজারপাড়া, রুপসীপাড়া, বাইশারী, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম, সোনাইছড়ি এবং আলীকদম উপজেলার শীলেরতোয়া, লাইনঝিরি এলাকায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার হাজা।
অন্যদিকে জেলার বিভিন্ন জায়গায় রুমা, থানচি, রোয়াংছড়ি এবং সদর উপজেলার অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোর বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধসে পড়েছে। প্রশাসন এবং বান্দরবান ও লামা পৌরসভার পক্ষ থেকে পাহাড়ধসের ঝুঁকিতে বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে। এমন অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে বান্দরবান জেলার সাত উপজেলায় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
বান্দরবান জেলার মৃত্তিকা ও পানি সংরক্ষণ কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মাহাবুবুল ইসলাম তিনি জানান, আজ (২৯ জুলাই) বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ১৮২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এটি এ বছর বর্ষা মৌসুমে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড ।
এ বৃষ্টিপাতে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি ও পাহাড়ধসের শঙ্কা বাড়ছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় স্থানীয় প্রশাসন এবং জেলা প্রশাসন সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি। এ বৃষ্টিতে উপজেলাগুলোতে পাহাড়ধসে সড়ক, ঘরবাড়ি ও বৃষ্টিতে সড়কধসে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।