২৮ মার্চ, ২০২৫, শুক্রবার

২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড সংখ্যক ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে

Advertisement

দিন যতো যাচ্ছে ভয়াবহ হয়ে উঠছে ডেঙ্গু জ্বর পরিস্থিতি। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানী ঢাকায় চলতি বছরের রেকর্ড সংখ্যক এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আজ স্বাস্থ্য অধিদফতরের স্বাস্থ্য তথ্য ইউনিটের (এমআইএস) সহকারী পরিচালক ও হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন অ্যান্ড কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. কামরুল কিবরিয়া স্বাক্ষরিত ডেঙ্গু সংক্রান্ত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হওয়া ১০৪ জন রোগীর মধ্যে সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত হাসপাতালে ৩১ জন ও বেসরকারি হাসপাতালে ৭৩ জন ভর্তি রয়েছেন। সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত হাসপাতালগুলোর মধ্যে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালে ২১ জন, ঢাকা শিশু হাসপাতালে পাঁচজন ও সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ৯ জন।

এছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে মোট ভর্তি ৭৩ জনের মধ্যে হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালে সাতজন, ইবনে সিনা হাসপাতাল ধানমন্ডিতে একজন, স্কয়ার হাসপাতাল আটজন, সেন্ট্রাল হাসপাতাল ধানমন্ডিতে ৯ জন, গ্রীন লাইফ হাসপাতালে তিনজন, ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতাল কাকরাইলে তিনজন, খিদমাহ হাসপাতাল খিলগাঁওয়ে ছয়জন, সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একজন, এভারকেয়ার হাসপাতালে ছয়জন, আদ-দ্বীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৭ জন, ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে একজন, বিআরবি হসপিটালস লিমিটেডে একজন, বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে দুজন, উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুজন, সালাউদ্দিন হাসপাতালে দুজন, পপুলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনজন এবং উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে একজন ভর্তি হন।

এর আগে ২৩ জুলাই, শুক্রবার একদিনে সর্বোচ্চ ৮৫ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছিল। এ নিয়ে জুলাই মাসের ২৪ দিনেই ১ হাজার ২০২ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। তাদের ৯৯ শতাংশই রাজধানীর।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, সারাদেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে এখন পর্যন্ত ৪২২ জন রোগী ভর্তি আছে। এর মধ্যে ঢাকাতেই আছে ৪১৯ জন, বাকি ৩ জন ঢাকার বাইরে অন্য বিভাগে। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৪ জুলাই পর্যন্ত ১ হাজার ৫৭৪ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন এবং হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ১ হাজার ১৪৯ জন।

এ বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃত্যুর তথ্য পর্যালোচনার জন্য রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement