করোনা সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত কঠোর বিধি-নিষেধের আজ পঞ্চম দিন। গত চার দিনের চেয়ে আজ মঙ্গলবার রাজধানীর সড়কে লক্ষ্য করা গেছে যানবাহনের বাড়তি চাপ। যাতায়াত খরচ বেড়ে যাওয়ায় অফিসগামীরা রিকশায় উঠছেন ভাড়া ভাগাভাগি করে। পাড়া-মহল্লার দোকানপাটগুলোও খুলতে শুরু করেছে। অন্যদিকে সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশের তল্লাশি চলছে। কিছু সিগন্যালে গাড়িগুলোকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে।
আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর উত্তরা, মোহাম্মদপুর বাস স্ট্যান্ড, শংকর, ধানমন্ডি লেক, ঝিগাতলা, সিটি কলেজ মোড়, রাসেল স্কয়ার মোড়ে কিছু কিছু দোকান খোলা থাকতে দেখা যায়। গণভবন চেকপোস্ট ও শেরেবাংলা নগর থানার চেকপোস্ট ঘুরে দেখা গেছে যে অনেকেই বাধ্য হয়ে দোকানগুলো খোলা রেখেছেন জীবিকার তাগিদে।
মোহাম্মদপুর বাস স্ট্যান্ড ও শংকর বাস স্ট্যান্ডে ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেল চালকরা যাত্রীর অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। ধানমন্ডি লেকেও শতাধিক মানুষকে শরীর চর্চারত অবস্থায় পাওয়া যায়। দুপুরের খাবার হাতে অনেকে হেঁটে হেঁটেই কাজে গেছেন। এমন অসংখ্য জায়গায় মানুষের চলাচল লক্ষ্য করা গেছে।
এদিকে সড়কে ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ বেড়েছে; পাশাপাশি চলছে রিকশা, মোটরসাইকেল, অফিস বাস ও পণ্যবাহী ট্রাক। ট্রাফিক পুলিশের ব্যাপক তল্লাশির কারণে চেকপোস্টগুলোয় গাড়ির জটলা সত্ত্বেও প্রতিটি গাড়ির যাত্রীদের তল্লাশি চালু আছে। যারা অযথা বাইরে বের হয়েছেন কিংবা সন্তোষজনক জবাব দিতে পারছেন না- তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছেন।
চলমান কঠোর বিধি-নিষেধে সরকারি ও বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকার কথা ছিল। কিন্তু কিছু কিছু অফিসের পাশাপাশি খোলা রয়েছে ব্যাংকসহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান। তাই গত রোববার থেকে সড়কে গাড়ির চাপ বেড়েছে- এমনটা জানায় ঢাকা মহানগর পুলিশ।
এদিকে আজ সকাল ৮টা ৪০ মিনিটের দিকে রাজধানীতে বৃষ্টি শুরু হয়। তখন অনেক পথচারীকে বিভিন্ন দোকানের শেডের নিচে আশ্রয় নিতে দেখা গেছে। একান্ত জরুরি প্রয়োজন যাদের, তারা বৃষ্টি সত্ত্বেও পর্দা টেনে রিকশায় চড়ে যান নিজ নিজ গন্তব্যস্থলে। বৃষ্টিতে কিছু সময়ের জন্য ফাঁকা ছিল চেকপোস্টগুলো। বৃষ্টি কমার পর আবার পুলিশের তল্লাশি শুরু হয়।
মোহাম্মদপুর ট্রাফিক জোনের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর জহুরুল হক বলেন- ব্যাংক, বিমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ অনেক অফিস খোলা থাকার কারণে রাস্তায় মানুষের চলাচল বাড়ছে। রোগী দেখতে, টিকা নিতে ও আর্থিক কাজের কারণ দেখিয়ে বের হচ্ছেন অনেকেই। আমরা চেষ্টা করছি অন্তত কেউ যেন অযথা ঘর থেকে বের না হয়। যাদের কথায় সন্তুষ্ট হচ্ছি না বা কারণ যুক্তিসংগত মনে হচ্ছে না তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।