মহামারী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে কঠোর বিধিনিষেধের আজ সোমবার চতুর্থ দিনে রাজধানীতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। অন্যান্য দিনের তুলনায় আজ সাধারণ মানুষের ভিড় কিছুটা বেড়েছে। পাশাপাশি ব্যক্তিগত গাড়ির চাপও কিছুটা বেড়েছে বলে জানিয়েছেন মাঠপর্যায়ে দায়িত্ব পালনকারী পুলিশ সদস্যরা। রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বনানী, মহাখালী, তেজগাঁও, বিজয় সরণি, ফার্মগেট, বাংলামোটর ও মগবাজার এলাকা ঘুরে এমন চিত্র চোখে পড়ে।
তেজগাঁও বিজিপ্রেসের সামনের সাতরাস্তার কাছে চেকপোস্টে দায়িত্ব পালনরত তেজগাঁও ট্রাফিক বিভাগের সার্জেন্ট মো. উজ্জ্বল হোসেন তিনি বলেন, সকাল নয়টার পর থেকে সাধারণ মানুষের চলাচল কিছু বেড়েছে। যাঁরা বাইরে বের হচ্ছেন, বেশিরভাগ মানুষই রোগী বা রোগীর স্বজন পরিচয় দিচ্ছেন। কেউ কেউ বলেন, কোভিড-১৯-এর টিকা বা পরীক্ষার জন্য বের হয়েছেন ।
অন্যান্য দিনের চেয়ে আজ বিদেশগামী লোকের সংখ্যাও তুলনায় বেশি পাওয়া গেছে। অনেকে আবার যৌক্তিক কারণেই বের হচ্ছেন। তবে যারা বিনাকারণে ছাড়াই রাস্তায় বের হচ্ছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, করা হচ্ছে জরিমানাও।
এরই মধ্যে একজনকে পাওয়া গেছে, যিনি মোটরসাইকেলে যাত্রী পরিবহন করছিলেন। জিজ্ঞাসাবাদের শুরুতে তিনি বলেন, পেছনে বসা যাত্রী আমার ভাই। জরুরি প্রয়োজনে অফিসে পৌঁছে দিতে হবে বলে তিনি নিজের মোটরসাইকেলে করে নিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু পরে দেখা গেল তাঁরা দুজনেই মিথ্যা পরিচয় দিয়েছেন। ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগে তাঁদের এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এমন অনেকেই বের হওয়ার যৌক্তিক কারণ দেখাতে পারছেন না। অকারণে কাউকে পাওয়া গেলে সরকারি আদেশ অমান্য করার অভিযোগে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।