বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা কমে এসেছে। একই সাথে আগের দিনের তুলনায় নতুন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও কিছুটা কম। গত ২৪ ঘণ্টা সময়ে সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৯ হাজারের বেশি মানুষ মারা যান। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ছয় লাখ ৪০ হাজারের বেশি মানুষ।
সংক্রমণের দিক দিয়ে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টার হিসেবে এগিয়ে ছিল যুক্তরাষ্ট্রে। আর অন্যদিকে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যায় শীর্ষে ছিল ইন্দোনেশিয়া। বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা সম্প্রতি ১৯ কোটি ৭৯ লাখের ঘর ছাড়িয়েছে। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪২ লাখ ২৩ হাজার।
শনিবার (৩১ জুলাই) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট- ‘ওয়ার্ল্ডোমিটারস’ থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৪২ লাখ ২৩ হাজার ৩৮৮ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টা সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ছয় লাখ ৪০ হাজার ১৬৯ জন। যা আগের দিনের তুলনায় প্রায় ১৫ হাজার কম। এ নিয়ে মহামারির শুরু থেকে প্রায় ১৯ কোটি ৭৯ লাখ ৬৪ হাজারের বেশি মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ শনাক্ত হয় যুক্তরাষ্ট্রে ৯৯ হাজার ৪৭০ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৫৬ লাখ ৮৮ হাজার ৫০৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ছয় লাখ ২৯ হাজার ৬৪ জন মানুষ।
অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ মৃত্যু সংখ্যা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়ায় ১ হাজার ৭৫৯ জন। একই সময় দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪১ হাজার ১৬৮ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে ইন্দোনেশিয়ায় করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ৩৩ লাখ ৭২ হাজার ৩৭৪ জনের; দেশটিতে মোট মৃত্যু হয়েছে ৯২ হাজার ৩১১ জনের।
লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল, করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৮৮৬ জন; নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪০ হাজার ৯০৪ জন। মহামারির শুরু থেকে সেখানে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এক কোটি ৯৮ লাখ ৮০ হাজার ২৭৩ জন; মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৫ লাখ ৫৫ হাজার ৫১২।
করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান তৃতীয়। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনাভাইরাসে মারা গেছেন ৫৯৮ জন এবং নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪১ হাজার ৪৯৯ জন। বর্তমান পর্যন্ত দেশটিতে মোট আক্রান্ত ৩ কোটি ১৬ লাখ ১২ হাজার ৭৯৪ জন; মোট মারা গেছেন ৪ লাখ ২৩ হাজার ৮৪২ জন।
এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে ৬১ লাখ ৩ হাজার ৫৪৮ জন, রাশিয়ায় ৬২ লাখ ৪২ হাজার ৬৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া যুক্তরাজ্যে, ইতালি, তুরস্ক এবং স্পেনে যথাক্রমে ৫৮ লাখ ৩০ হাজার ৭৭৪ জন, ৪৩ লাখ ৪৩ হাজার ৫১৯ জন, ৫৭ লাখ ৪ হাজার ৭১৩ জন এবং ৪৪ লাখ ৪৭ হাজার ৪৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
অন্যদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে এক লাখ ১১ হাজার ৮২৪ জন এবং রাশিয়ায় এক লাখ ৫৭ হাজার ৭৭১ জন মারা গেছেন। এছাড়া যুক্তরাজ্যে এক লাখ ২৯ হাজার ৫৮৩ জন ও ইতালিতে এক লাখ ২৮ হাজার ৪৭ জন মারা যান। তুরস্কে এই পর্যন্ত মোট মৃত্যু সংখ্যা ৫১ হাজার ২৫৩ জন, স্পেনে ৮১ হাজার ৪৮৬ জন।
বিশ্বে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছিল চীনের উহানে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে। এরপর গত বছরের ১১ মার্চ ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা’ (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। করোনার কারণে একই বছরের ২০ জানুয়ারি থেকে সারাবিশ্বে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
