২৭ মার্চ, ২০২৫, বৃহস্পতিবার

সাকিবের মাথা কেটে শহিদুলের ঘাড়ে লাগানো দায় বিসিবির!

Advertisement

টি-টোয়েন্টি সিরিজে শেষ হয়েছে বেশ আগেই কিন্তু সেই সময়ের বিতর্ক রয়ে গেছে এখনও। শেষ ম্যাচে সাকিবরের মাথা কেটে পেসার শহিদুল ইসলামের ঘাড়ে লাগিয়ে বিসিবির ফেসবুক পেইজে আপ করা হয়েছিলো। দুই হাত ওপরের দিকে তুলে উইকেট পাওয়ার আনন্দ উদ্‌যাপন করছিলেন বাংলাদেশ দলের পেসার শহীদুল ইসলাম। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনায় মেতে ওঠে দেশের মানুষ। এ নিয়ে বিসিবির সাথে কথাও বলে গণমাধ্যম কর্মীরা। বিসিবির সিইও বলেন সরাসরি এই পেজটি বিসিবি চালায় না কোন এক থার্ড পার্টি বিসিবির ডিজিটাল মিডিয়া নিয়ন্ত্রন করে বা তাদের উপর দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

বিভিন্ন মাধ্যমের সূত্র ধরে জানা যায়, কনটেন্ট ম্যাটারস বিসিবির ফেসবুক পেজের পোস্টগুলোর জন্য যে পৃষ্ঠপোষক নিয়েছে, তাদের শর্ত ছিল খেলার সময় প্রতিদিন অন্তত ১০টি পোস্ট দিতে হবে। মূলত সেই ১০টি পোস্টের ‘কোটা’ পূরণ করতেই নাকি সংশ্লিষ্টরা ও রকম গোঁজামিল দেওয়া ছবি পোস্ট দিয়েছেন!

যদিও এ যুক্তি পুরোপুরি গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ, শহীদুলের উইকেট পাওয়ার পোস্টটি তাঁর আসল ছবি দিয়েও দেওয়া যেত। অবশ্য এসব ক্ষেত্রে বিসিবির কাছ থেকে সময়মতো ছবি পাওয়া যায় না, এমন অভিযোগও আছে।

এব্যাপারে বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী গণমাধ্যমে বলেন, ‘ছবি নিয়ে যেটা হয়েছে, সেটা খুবই অনাকাঙ্ক্ষিত। আমরা কনটেন্ট ম্যাটারসের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেছি। চলতি চট্টগ্রাম টেস্টের পর আর তাদের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক থাকবে না। বিসিবি অচিরেই ডিজিটাল স্বত্ব বিক্রির নতুন দরপত্র আহ্বান করবে।

গেল ২০২০ সালে কনটেন্ট ম্যাটারসের সঙ্গে বিসিবির চার বছরের চুক্তি শেষ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু নতুন চিক্তি ছাড়াই তারা কাজ করে যাচ্ছে। বিসিবির মৌখিক অনুরোধের ভিত্তিতে কনটেন্ট ম্যাটারস গত এক বছর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাদের যাবতীয় কাজ করে আসছে।

এব্যাপারে সিইও জানান, চুক্তি শেষ হয়ে গেলেও অন্তর্বর্তী সময়ের জন্য তারা আমাদের হয়ে কাজ করছিল। চুক্তি শেষ হয়ে যাওয়ার পর কেন নতুন কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হলো না, জানতে চাইলে তাঁর ব্যাখ্যা, ‘করোনাভাইরাসের কারণে এ সময় পরিস্থিতি অনুকূলে ছিল না। তা ছাড়া বিসিবির নির্বাচন আয়োজনের ব্যস্ততা ছিল। সবকিছু মিলিয়ে সেটা হয়ে ওঠেনি।’

বিতর্কিত ফেসবুক পোস্টটির ব্যাপারে জানতে যোগাযোগ করা হয়েছিল কনটেন্ট ম্যাটারসের প্রধান নির্বাহী এ এস এম রফিকউল্লাহর সঙ্গেও। যেহেতু চট্টগ্রাম টেস্ট পর্যন্ত তাঁরা বিসিবির সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম দেখভালের দায়িত্বে আছেন, এ ব্যাপারে বিস্তারিত কথা বলতে রাজি হননি তিনি। তবে রফিকউল্লাহ বলেছেন, ‘বিসিবির কাছ থেকে আমরা চুক্তি বাতিলের চিঠি পেয়েছি এবং তাদেরকে আমাদের পক্ষ থেকে প্রাপ্তি স্বীকারপত্রও দেওয়া হয়েছে।’

বিসিবির অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে বর্তমানে ফলোয়ারের সংখ্যা ১ কোটি ৩৪ লাখের ওপরে। বাংলাদেশ থেকে পরিচালিত ফেসবুক পেজগুলোর মধ্যে এটি আছে পঞ্চম স্থানে। বিসিবির টুইটার অ্যাকাউন্টেও ফলোয়ার আছে ২৯ লাখের বেশি। প্রচারের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বর্তমানে আয়ের বড় উৎস হলেও বাংলাদেশের ক্রিকেটে এই জায়গাটি এখনো অবহেলিতই রয়ে গেছে। এমনকি বিসিবির ওয়েবসাইটটিও কদাচিৎই সক্রিয় পাওয়া যায়। সে তুলনায় অন্যান্য দেশের ক্রিকেট বোর্ডের ওয়েবসাইট এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অনেক বেশি সক্রিয়।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement