করোনাভাইরাসের টিকার বুস্টার ডোজের অনুমোদন দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ডোজ যাঁদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল তাদের জন্য। আশা করা হচ্ছে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) এ ঘোষণা দিতে পারে। দায়িত্বশীল একটি সূত্রের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে সিএনএন ।
খবরে বলা হয়েছে, মডার্না ও ফাইজারের টিকা দুই ডোজের। তবে এ দুটি টিকার ক্ষেত্রে তৃতীয় ডোজ দেওয়া হবে। এ নিয়ে এফডিএর এক মুখপাত্র সিএনএনকে বলেন, যাঁদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কম, দুর্বল তাঁদের তৃতীয় ডোজ দেওয়ার ব্যাপারে গবেষণা চলছে। তবে এ সংক্রান্ত তথ্য গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এফডিএ ও রোগ নিয়ন্ত্রণবিষয়ক সংস্থা সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) টিকা নিয়ে বিভিন্ন দিক গবেষণা করছে। এফডিএ ও সিডিসি খুব তাড়াতাড়ি এসব তথ্য প্রকাশ করবে।
প্রথম খবর টিকার তৃতীয় অনুমোদন দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রের আরেক গণমাধ্যম এনবিসি। সে গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসকেরা বলেছেন, দিন দিন এটা পরিষ্কার হচ্ছে, টিকা নেওয়ার পরও অনেকে এখনো ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ করোনার বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিতে তাঁদের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা যথেষ্ট শক্তিশালী হয়ে ওঠেনি।
এনবিসির খবরে বলা হয়েছে, সিডিসির তথ্যসূত্রে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের ২.৭ শতাংশ টিকাগ্রহীতার করোনা প্রতিরোধব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়েছে বা নষ্ট হয়ে গেছে। কিন্তু কারা পাবেন এই তৃতীয় ডোজ এটা ঠিক পরিষ্কার নয়। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রে যাঁদের অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ প্রতিস্থাপন করা হয়েছে, তবে যাঁরা ক্যান্সার এবং এইডসে আক্রান্ত, তাঁদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কম।
কিন্তু এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসের যেসব টিকার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, সেগুলো এক কিংবা দুই ডোজের। যার কারণে তৃতীয় ডোজের জন্য নতুন অনুমোদন লাগবে। আর এফডিএর নিকট থেকে এ অনুমোদন আসতে হবে। অনুমোদন পাওয়ার পর সেটা যাবে সিডিসির কাছে। তারপর সিডিসি জানাবে টিকার এ তৃতীয় ডোজ আদৌ ব্যবহার করা হবে কি না। সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, সূত্র বলেছে, স্থানীয় সময় শুক্রবার এ নিয়ে একটি বৈঠকে বসবেন সিডিসির টিকাবিষয়ক উপদেষ্টারা ।