১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, রবিবার

বেগুন চাষের সঠিক পদ্ধতি

Advertisement

আমাদের দেশে শীতকালীন সবজি হিসেবে বেগুন সুস্বাদু। গরমেও একেবারে কম নয়। বেগুনের পুষ্টিগুণও ভালো। বেগুন প্রায় সারা বছরই চাষ করা যায়। বেগুন চাষের মাধ্যমে দৈনন্দিন চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি আর্থিক স্বচ্ছলতাও আনা সম্ভব।
আসুন জেনে নেই বেগুন চাষের সঠিক পদ্ধতি-

বেগুন চাষের উপযোগী মাটি

বেগুন প্রায় সব ধরনের মাটিতেই জন্মে। তাছাড়া বেগুন চাষের জন্য দো-আঁশ, এটেল দো-আঁশ ও পলিমাটি বেশি উপকারী। গ্রীষ্মকালেরও তুলনায় শীতকালে ফলন বেশি হয়।

রোপণ পদ্ধতি

বীজতলায় প্রথমে চারা তৈরি করে নিন। তারপর ৫-৬ সপ্তাহ বয়সের চারা ৭৫ সেন্টিমিটার দূরত্বে সারি করে ৬০ সেন্টিমিটার দূরত্বে রোপন হয়। তবে গাছের আকার অনুযায়ী দূরত্ব ১০-১৫ সেন্টিমিটার কম-বেশি করা যায়।

চারা রোপনের উপযুক্ত সময়

গ্রীষ্মকালীন সময়ে মাঘ-ফাল্গুন মাসে, বর্ষাকালীন সময়ে বৈশাখ মাসে, শীতকালীন সময়ে ভাদ্র-আশ্বিন মাসে ফসলের জন্য চারা রোপণ করতে হয়।

প্রয়োজনীয় সার

জমিতে প্রতি হেক্টর ৩৭০-৩৮০ ইউরিয়া কেজি, ১৪৫-১৫৫ টিএসপি কেজি, ২৪০-২৬০ এমপি কেজি ও ৮-১২ টন গোবর প্রয়োগ করতে হবে।

সার প্রয়োগ পদ্ধতি

জমি তৈরির সময় অর্ধেক গোবর সার প্রয়োগ করতে হয়। আর বাকি অর্ধেক গোবর, সম্পূর্ণ টিএসপি এবং এক তৃতীয়াংশ ইউরিয়া ও এমপি সার পিট তৈরির সময় প্রয়োগ করতে হয়। বাকি ৩টি সমান কিস্তিতে ইউরিয়া ও এমপি সার রোপণের ২১-৩৫ ও ৫০ দিন পর প্রয়োগ করতে হয়।

চারার পরিচর্যা

কিছুদিন পর পর গাছের গোড়ার মাটি আলগা করে দিতে হয়। তবে প্রচুর পানি প্রয়োজন হয় শীতকালীন ও আগাম লাগানো বর্ষাকালীন বেগুনের জন্য। আবার বেলে মাটিতে সেচ দিতে হয়১০-১৫ দিন পর। বর্ষাকালীন ও বারোমাসী বেগুনের জন্য পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থাও করতে হয়।

ঢলে পড়া রোগ প্রতিরোধ

বেগুনের চারা ফিউজেরিয়াম নামক ছত্রাক দ্বারা ঢলে পড়া রোগ হয়। তখন গাছের গোড়া ও শেকড় বিবর্ণ হয়ে যায়। ঢেলে পড়া রোগে পাতা নেতিয়ে পড়ে এবং গাছ ঢলে পড়ে। এমনকি পরে গাছ মারা যায়।
ঢলে পড়া রোগ প্রতিকার-

চারা লাগানোর সময় খেয়াল রাখতে হবে যে চারার জাত যেন রোগ প্রতিরোধক জাত হয়। রোগে আক্রান্ত গাছ তুলে ফেলতে হবে। এমনকি আক্রান্ত জমিতে শস্য পরিক্রমা অনুসরণ করতে হবে।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement