ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন্নাহার মুকুলের অব্যাহতি ও বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে করা রিট আবেদনের আদেশের জন্য মঙ্গলবার রেখেছেন হাইকোর্ট।
এ বিষয়ে আদালত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পদক্ষেপ জানতে চেয়ে নির্দেশ দিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীকে।
সোমবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এ সময় রিটের পক্ষে ছিলেন মোঃ আব্দুল্লাহ আল-হারুন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
ভিকারুননিসা নুন স্কুলের দুই শিক্ষার্থীর অভিভাবক মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম এই রিট দায়ের করেন।
রিটটিতে বিবাদী করা হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক ও ভিকারুননিসা নুন স্কুল এন্ড কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতিকে।
‘দুর্নীতি ও অসদাচরণের’ কারণে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ায় নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
এর আগে, ঐতিহ্যবাহী ও স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহার মুকুলের সঙ্গে অভিভাবক ফোরামের উপদেষ্টা মীর সাহাবুদ্দিন টিপুর সঙ্গে একটি ফোনালাপ ফাঁসের পর তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ভাইরাল হয়। পরে গত ২৭ জুলাই বেশকিছু জাতীয় দৈনিকেও ফলাও করে এ ফোনালাপ ফাঁস ও অশ্রাব্য কথোপকথনের বিষয়টি জনসম্মুখে আসে। রিটের আবেদনের সাথে বেশকিছু গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ সংযুক্ত করা হয়।