হঠাৎ করে নিজের অজান্তেই হাতে-পায়ে ব্যথা হয়। শরীন ঝিনঝিন করে এসব নানা উপসর্গ দেখা দেয়। এসব উপসর্গ দেখা গেলে বুঝতে হবে শরীরে ভিটামিন বি-১২-এর ঘাটতি রয়েছে।
এমনকি অনেক দিন যাবৎ ভিটামিন বি-১২-এর ঘাটতির কারণে স্নায়বিক সমস্যা হতে পারে। যার কারণে চলাফেরা করতে এবং ভারসাম্য রাখতে অসুবিধা হয়। এরকম সমস্যা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
সাধারণত যে লক্ষণ গুলো দেখা দিলে বুঝতে হবে যে, ভিটামিন বি-১২ এর অভাব রয়েছে তাহল, ভুলে যাওয়ার প্রবণতা, মাথা ঘোরানো, দুর্বলতা, বিষণ্ণতা, দুশ্চিন্তা ইত্যাদি। রক্তশূন্যতাও দেখা দিতে পারে। এমনকি রক্তশূন্যতায় রোগী দুর্বল হয়ে পড়ে, অল্প পরিশ্রমে ক্লান্ত ও বুক ধড়ফড় করে, হাঁপিয়ে ওঠে। এতে হতে পারে কোষ্ঠকাঠিন্য, পাকস্থলীর সমস্যা।
শাকসবজি ও ফলমুল ছাড়াও প্রাণিজ উৎস থেকেও ভিটামিন পাওয়া যায়। তবে প্রাণিজ উৎস থেকে পাওয়া যায় এমন একটি ভিটামিন হলো ভিটামিন বি-১২।
ভিটামিন বি-১২-এর ঘাটতির ঝুঁকি বেশি সাধারণত যারা ভেজিটেরিয়ান তাদের। আবার মদ্যপানেও ভিটামিন বি-১২-এর ঘাটতির ঝুঁকি বাড়ায়। যারা পাকস্থলী ও অন্ত্রের কিছু রোগে আক্রান্ত তাদেরও ভিটামিন বি-১২-এর ঘাটতি হয়।
ভিটামিন বি-১২ ঘাটতির লক্ষণ বাহ্যিক লক্ষণ হলো ফ্যাকাসে ত্বক। যদি ত্বকের রং হলদে ফ্যাকাসে হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তাছাড়া চোখে ঝাপসা দেখা বি-১২ ভিটামিনের অভাবের আরো একটি লক্ষণ।স্নায়ুতেও এ ভিটামিনের বিভিন্ন ঘাটতি প্রভাব ফেলে। যেমন অপটিক নার্ভও।
মুরগি, ডিম, মাছ, টুনা, স্যামন, দই, লো-ফ্যাট দুধ, চিজ, ডালে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি ১২ থাকে