১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, মঙ্গলবার

মানবপাচার: স্থগিতই থাকছে ব্যবসায়ী আজম খানের জামিন

Advertisement

সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রধান বাণিজ্যকেন্দ্র দুবাইয়ের হোটেল ব্যবসায়ী সেই মো. আজম খানকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিতের আদেশ প্রত্যাহারের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ আজ রবিবার (৫ সেপ্টেম্বর) এই আদেশ দেন।

আদেশের আগে প্রধান বিচারপতি আসামিপক্ষের আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, এরকম পাচারকারীদের ছাড় দেওয়া হলে সমাজ থাকবে না। তিনি বলেন, হোটেলে চাকরি দেওয়ার নামে দুবাই নেওয়া হয়েছে। অথচ তাদের সেখানে নিয়ে চাকরি না দিয়ে কি করা হলো ভাবুনতো?

এর আগে গত ১৯ জুলাই হাইকোর্ট আজম খানকে জামিন দেন। এই জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা এক আবেদনে ২৭ জুলাই আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি আজম খানের জামিন স্থগিত করে দেন।

জানা যায়, মো. আজম খান দুবাইয়ে সাত-আট বছর ধরে হোটেল ব্যবসা করে আসছিলেন। সেখানে তিনি চারটি হোটেল পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। হোটেল ফরচুন রয়েল, ফরচুন গ্র্যান্ড হোটেল ও সিটি টাওয়ার হোটেল চার-তারকা মানের এবং ফরচুন পার্ল হোটেল তিন-তারকা মানের। এসব হোটেলে চাকরি দেওয়ার নাম করে তিনি বাংলাদেশ থেকে ৬০-৭০ জন মেয়েকে নিয়ে যান।

সেখানে অর্থের বিনিময়ে আগতদের সঙ্গে তাঁদের শারীরিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করতেন আজম খান। এটা জানার পর ওই দেশের সরকার তার পাসপোর্ট জব্দ করে দেশ থেকে বহিষ্কার করে। এরপর মো. আজম খান দেশে ফিরে আসেন। ওদিকে ভুক্তভোগী নারীরা দেশে ফিরে তার বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দেন। এরপর পুলিশ বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে গত বছরের ২ জুলাই মানবপাচারের অভিযোগে মামলা করে।

মামলার কয়েক দিনের মধ্যেই গতবছর জুলাইয়ে পুলিশ আজম খানকে গ্রেপ্তার করে। এরপর তিনি ঘটনা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন।

আদালতে আজম খানের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। আর রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement