১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, শুক্রবার

আশ্রয়ন প্রকল্পের প্রতারণায় “কঠোর অবস্থানে মাশরাফী”

Advertisement

প্রধানমন্ত্রীর উপহার আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর নিয়ে প্রতারণা অভিযোগে কঠোর অবস্থানে মাশরাফী। নিজেদের এলাকার মানুষের উদ্দেশ্যে তিনি খোলা চিঠি লিখেছেন। সেই চিঠিতে ম্যাস বলেন,

“আমার পরিবারদের সদস্য, সেটা যে কেউ হোক বা আমার যত আপন হোক, আমার কোনো আত্নীয়, আমার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা, আমার বন্ধু, বড়ভাই-ছোটভাই কিংবা ঘনিষ্ঠজন পরিচয়ে কেউ যদি আপনাদের কোনো সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে বা সেটি পাইয়ে দিতে টাকা চায়, তাহলে সে যেই হোক, তাকে সেই মুহূর্তে পুলিশের হাতে সোপর্দ করুন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী, ‘মুজিববর্ষ’ উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশের ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষদের গৃহ নির্মাণ করে দেওয়ার মহতী উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছেন। সারাদেশে একযোগে এত ঘর নির্মাণের এমন সাহসী উদ্যোগ গোটা বিশ্বে বিরল। এজন্য আমরা জাতির পিতার সুযোগ্য সন্তান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।

জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই বিশেষ উদ্যোগ বাস্তবায়নে সারাদেশে ব্যাপক কর্মযজ্ঞ চলছে। তবে পরিতাপের বিষয় হলো, কয়েকদিন আগে দেশের কয়েকটি স্থানে এই প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আরও দুঃখের ব্যাপার হলো, আমাদের নড়াইলেও প্রধানমন্ত্রীর উপহার নিয়ে প্রতারণা অভিযোগ উঠেছে।

সম্প্রতি র লোহাগড়া উপজেলায় আমার বন্ধু পরিচয় দিয়ে তিন প্রতারক গ্রামের অসহায় মানুষদের ঘর পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে খবর পেয়েছি।

জানতে পারার পরই আমি নড়াইলের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার মহোদয়কে অনুরোধ করেছি, এই খবরের সত্যতা যাচাই করে দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার দেশের প্রকৃত ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষদের সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে গৃহ নির্মাণ করে দিচ্ছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ঘর পেতে কোনো টাকা লাগছে না।

আবারও বলছি, এটি কেবলই প্রধানমন্ত্রীর উপহার। এই ঘর পেতে কোনো টাকা-পয়সা লাগছে না। পর্যায়ক্রমে সকল ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষ ঘর পাবেন।

কাজেই যারা ঘর বরাদ্দের জন্য টাকা দিচ্ছে ও নিচ্ছে, তারা সবাই অপরাধী। যেখানে সরকার বিনামূল্যে ঘর দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে, শুধুমাত্র গৃহহীন ও অসহায় মানুষদের জন্য। কিন্তু অনেকেই আছেন, নিজেদের ঘর থাকার পরও লোভের বশবর্তী হয়ে ঘুষ দিয়ে ওই ঘর নেওয়ার চেষ্টা করছেন। আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সমাজের কিছু প্রতারক প্রতারণা করছে।

প্রিয় নড়াইলবাসী,
আমি আপনাদের সন্তান ও আপনাদের প্রতিনিধি। সরকার আপনাদের কল্যাণে আমাকে যে বরাদ্দ দেয়, তার জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য আমি সবসময় তা জনসম্মুখে প্রকাশ করি। সরকারের বরাদ্দ আমার কাছে আমানত। এই আমানত আপনাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া আমার দায়িত্ব। এখানে টাকা-পয়সা দিয়ে কোনো সুবিধা পাওয়ার কোন সুযোগ নাই।

আমি সবসময় বলে আসছি এবং আপনাদের আবারও মনে করিয়ে দিতে চাইস আমার পরিবারদের সদস্য, যেটা যে কেউ হোক বা আমার যত আপন হোক, আমার কোনো আত্নীয়, আমার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা, আমার বন্ধু, বড়ভাই-ছোটভাই কিংবা ঘনিষ্ঠজন পরিচয়ে কেউ যদি আপনাদের কোনো সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে বা সেটি পাইয়ে দিতে টাকা চায়, তাহলে সে যেই হোক, তাকে সেই মুহূর্তে পুলিশের হাতে সোপর্দ করুন।
আগেও আপনারা জেনেছেন, আমার নাম ভাঙিয়ে প্রতারণা করা এক মহিলাকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়েছে।

আমি আবারো আপনাদের কাছে সবিনয় অনুরোধ করছি, এই প্রতারকদের থেকে দূরে থাকুন। লোভের বশে এদের ফাঁদে পা দিয়ে নিজের আর্থিক ক্ষতি ডেকে আনবেন না।

সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ ও নিরাপদে থাকুন।
মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা-এম.পি

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement