এক ধরনের বর্ষজীবি লতানো উদ্ভিদ হলো মিষ্টি কুমড়া। মিষ্টি কুমড়া আমাদের অনেকের কাছেই প্রিয়। তবে মিষ্টি কুমড়ার রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। মিষ্টি কুমড়া ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবারের তালিকায় প্রথম দিকেই রয়েছে। মিষ্টি কুমড়া চাষে পরিশ্রমও কম। আমাদের দেশে সবচেয়ে বেশি মিষ্টি কুমড়া চাষ হয় গ্রামাঞ্চলে।
মিষ্টি কুমড়া চাষের জন্য বেশি জায়গারও প্রয়োজন হয় না। কম জায়গাতেও চাষ করা যায় মিষ্টি কুমড়া। মিষ্টি কুমড়ায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘এ’। মিষ্টি কুমড়া ধান ক্ষেতে ও গ্রামের বাড়িতে ঝাকাতেও চাষ করা যায়।
রাতকানা রোগ প্রতিরোধে মিষ্টি কুমড়া খুবই উপকারী। আবার অনেকে মিষ্টি কুমড়া একই সাথে সবজি ও ফল হিসেবে খায়।
সবজি হিসেবে মিষ্টি কুমড়ার শাকও অনেক ভালো। অনেকের কাছে আবার মিষ্টি কুমড়ার শাক অনেক প্রিয়। নানা রকম পুষ্টিগুণে ভরপুর মিষ্টি কুমড়া।
মিষ্টি কুমড়া চাষ করে অনেক বেকার যুবক স্বাবলম্বী হয়েছেন।
মিষ্টি কুমড়াতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে জিংক, যা হাড়ের অস্টিওপোরোসিস রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে, রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা ঠিক রাখে এবং শরীরে বয়সের ছাপ সহজে পড়তে দেয় না।
ওজন কমাতে ও খাদ্য হজমে
মিষ্টি কুমড়ায় বিদ্যমান উচ্চ ফাইবার উপাদান খাদ্য হজমে খুব কার্যকরী ভূমিকা রাখে। আবার ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণ ও পরিপাক নালীর খাদ্য সঠিক উপায়ে সরবরাহে মিষ্টি কুমড়া অতুলনীয়। মিষ্টি কুমড়া ওজন কমাতে একটি উপযুক্ত খাবার। শরীরের অতিরিক্ত ওজন নিয়ে যারা চিন্তিত তারা মিষ্টি কুমড়া খেতে পারেন।
উচ্চ রক্তচাপ ও প্রদাহ হ্রাস কমাতে মিষ্টি কুমড়ার ভূমিকা-
মিষ্টি কুমড়া বাত ব্যথাসহ দীর্ঘস্থায়ী ব্যথার প্রশমন ঘটায়। যারা দীর্ঘদিন ব্যথাজনিত সমস্যায় ভুগছেন তারা প্রতিদিন যদি ১ থেকে ২ কাপ পরিমাণ রান্নাকরা মিষ্টি কুমড়া খেতে পারেন তাহলে অনেকটাই ব্যথা কমে আসবে। এছাড়াও যারা উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যায় ভোগছেন তাদের জন্য মিষ্টি কুমড়া অনেক উপকারী। মিষ্টি কুমড়ার উচ্চ ভিটামিন সি ও পটাসিয়াম উপাদান উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।