রাজধানীর বারিধারা থেকেই রোববার রাতে গোয়েন্দা পুলিশের হাতে আটক হন মডেল পিয়াসা এবং মোহাম্মদপুরের বাবর রোডে অভিযান চালিয়ে আটক করা হয় আরেক মডেল মরিয়ম আক্তার মৌকে। তাদের কেন আটক করা হলো এ বিষয়ে ডিবি জানায়, আটককৃত দুই মডেল একটি সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য। তারা দুজন উচ্চবিত্তদের বাসায় ডেকে এনে নিয়মিত ব্ল্যাকমেইলিং করতেন। রোববার, গভীর রাতে গোয়েন্দা পুলিশের দুটি আলাদা অভিযানে আটক করা হয় পিয়াসা ও মৌকে।
মৌকে আটক করার পর তার বাসার নিচেই সংবাদসম্মেলন করে ডিবি পুলিশ, ডিবি উত্তর বিভাগের যুগ্ম কমিশনার হারুন-অর রশীদ গণমাধ্যমে বলেন, এই দুই মডেলের বিরুদ্ধে আমরা বেশ কিছু ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগ পেয়েছি। সব কিছু তদন্ত করে আজ আমরা অভিযান চালিয়েছি। দুজনের বাসা থেকেই বিদেশি মদ, ইয়াবা ও সিসা পাওয়া গেছে। মৌয়ের বাসায় মদের বারও ছিলো।
তিনি আরও বলেন, এরা দুজই রাতের রানী, তারা দিনের বেলায় ঘুমায় আর রাতের বেলায় এসব কর্মকান্ড করে। পার্টি করার নামে উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তানদের ডেকে এনে তাদের সাথে আপত্তিকর ছবি-ভিডিও ধারণ করে সেসব দিয়ে ব্লাকমেইল করে পয়সা হাতিয়ে নেন এই দুজন।
তিনি আরও বলেন, এই দুই মডেলের বাসায় মদ পাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর ও গুলশান থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পৃথক মামলা দায়ের হবে। সেই সাথে তাদের বিরুদ্ধে ব্ল্যাকমেইলিংয়েরও মামলা হবে।
২০১৭ সালের মে মাসে বনানীর রেইনট্রি হোটেলে দুই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলার এজাহারে নাম ছিল ফারিয়া মাহাবুব পিয়াসার। এছাড়াও এশিয়ান টিভির সাবেক পরিচালক ও প্রিভিউ কমিটির প্রধানের দায়িত্বও পালন করেছেন পিয়া। প্রেম করে ব্যবসায়ী শাফাত আহমেদকে তিনি বিয়ে করেছিলেন। এছাড়াও ‘সুপার হিরো সুপার হিরোইন’র অন্যতম প্রতিযোগী ছিলেন এই পিয়াসা। সবশেষ মিনিয়ার আত্মহত্যা মামলাতেও পিয়াসার নাম ছিলো।