১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, শনিবার

মৃত্যুদণ্ডের আসামীকে কনডেম সেলে রাখার বৈধতা নিয়ে রিটের শুনানি

Advertisement

মৃত্যুদণ্ডের চূড়ান্ত আদেশ না হওয়া পর্যন্ত অভিযুক্তদের কনডেম সেলে রাখার বৈধতা নিয়ে চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের হয়েছে। তিন বন্দীর পক্ষে রিট আবেদন করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শিশির মনির। যা আজ রোববার শুনানির কার্যতালিকায় রয়েছে।

বিচারপতি ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চে রিট আবেদনটির শুনানি হবে।

রিট আবেদনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা বিভাগের সচিব, আইন সচিব, আইজিপি, আইজি প্রিজন্স,চট্টগ্রাম, সিলেট ও কুমিল্লার সিনিয়র জেল সুপারকে বিবাদী করা হয়েছে।

আলোচ্য রিটে মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হবার আগে কেন বন্দীদের কনডেম সেলে রাখা কেন আইনি কর্তৃত্ব বহির্ভুত হবে না এই মর্মে রুল জারির আবেদন করা হয়েছে। সেইসাথে এই রুল বিবেচনাধীন থাকা অবস্থায় আবেদনকারী বন্দীদের কনডেম সেল থেকে সাধারণ কারাগারে স্থানান্তরের আবেদনও জানানো হয়েছে।

রিটকারীদের আইনজীবী মোঃ শিশির মনির জানান, বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডাদেশ ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক সাজা কার্যকর করার আইনগত কোনো বিধান নেই। মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকর করতে কয়েকটি আবশ্যকীয় আইনগত ধাপ অতিক্রম করতে হয়।

প্রথমত, ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৭৪ ধারামতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে হাইকোর্ট বিভাগের অনুমোদন নিতে হবে। একইসঙ্গে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪১০ ধারা অনুযায়ী হাইকোর্ট বিভাগে আপিল দায়েরের বিধান রয়েছে।

দ্বিতীয়ত, হাইকোর্ট বিভাগ মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখলে সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি সাংবিধানিক অধিকারবলে আপিল বিভাগে সরাসরি আপিল দায়ের করতে পারেন।

তৃতীয়ত, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১০৫ অনুযায়ী আপিলের রায়ের বিরুদ্ধে বিভিউ আবেদনের আইনগত সুযোগ রয়েছে। সর্বোপরি, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৪৯ এর অধীন রাষ্ট্রপতির নিকট ক্ষমা চাইতে পারেন। রাষ্ট্রপতি উক্ত ক্ষমার আবেদন না মঞ্জুর করলে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আইনগত বৈধতা লাভ করে।

আইনজীবী মোঃ শিশির মনির এ সময় গণমাধ্যমে প্রকাশিত নানান তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে জানান বর্তমানে দেশে হাইকোর্ট বিভাগে ডেথ রেফারেন্সের সংখ্যা ৭৭৫টি। দিনদিন এ সংখ্যা বেড়েই চলছে।

কিন্তু, বাংলাদেশে বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ড ঘোষণার পরপরই সাজাপ্রাপ্ত আসামীকে নির্জন কনডেম সেলে বন্দী করে রাখা হয়। বর্তমানে দেশের কারাগারগুলোর কনডেম সেলে ২ হাজার ৫ জন বন্দী রয়েছেন।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement