দীর্ঘ ২১ বছরের সম্পর্ক শেষ হলো আজ। লিওয়নেল মেসির আজকের যে পরিচয় তার পেছনে স্পেন ও বার্সেলোনার অবদান মুছে ফেলার কোনই অবকাশ নেই। অন্যদিকে বার্সেলোনার সেরা সাফল্যের সবটুকুই মেসির কল্যাণে। তাইতো কেউই ছাড়তে চায়নি কাউকে। কিন্তু পরিবেশ পরিস্থিতি দুজনকেই বাধ্য করেছে এই সম্পর্ক ভাঙতে। ক্লাবের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পর আজ (রোবাবার) ন্য়ূ-ক্যাম্পে শেষ বিদায় নিতে এসেছিলোন মেসি। হয়তো এখানে আর কখনোই মেসির খেলা হবে না, অথবা হবে কিন্তু মেসিতো নিজের আবেগ ধরে রাখতে পারলেন না।
ন্যূ ক্যাম্পে সম্বোর্ধনা অনুষ্ঠানে পাঁ রেখেই চোখের জল আর আটকে রাখতে পারেনিনি লিওনেল। চোখ মুছতে মুছতে মেসি বললেন বার্সেলোনা ছেড়ে যাওয়া আমার জন্য কঠিন। সংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মেসি বললেন, আমি আবারও ফিরবো কয়েক বছর পর। বার্সেলোনা আমার ঘর। এই ঘরেই আমি আবার ফিরে আসতে চাই। কিন্তু আমার স্বপ্নের শহরকে আপাদত বিদায় বলতে চাই। এই কথাটা বলেই কেঁদে ফেললেন মেসি।
মেসিতে বার্সা ছাড়লেন কিন্তু সে কোথায় যাবেন এমন প্রশ্নের জবাবে মেসি গণমাধ্যমকে বলেন, সামনে সম্ভবনা রয়েছে কিন্তু এই মুহুর্তে কোন নিশ্চয়তা নেই। ক্লাবের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পর অনেক ফোন পেয়েছি। অনেক ক্লাবই আগ্রহ দেখিয়েছে কিন্তু এখন আমার কাছে কোন কিছুই নেই। মেসি বলেন, পিএসজি একটা সম্ভবনা মাত্র কিন্তু তাদের সাথে এখনও নিশ্চিত কিছু হয়নি। এই কথার মধ্য দিয়েই বার্সা থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিদায় নিলেন লিওনেল মেসি।
বার্সোলোনার ২১ বছর মেসির জন্য সেরা। এই ক্লাবকে ১১ বার জিতিয়েছেন লা লিগা। ৮ বার জিতিয়েছেন স্প্যানিশ সুপার কাপ, কোপা দেলরেতে ৬ বার আর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ৪ বার। ২০০৪ সাল থেকে ১১ ক্লাবের হয়ে মেসি গোল করেন ৭০৯ টি গোল। বার্সার ইতিহাসে মেসিই সর্বোচ্চ গোলদাতা। কিন্তু সেই মেসিকে ধরে রাখতে পারলোনা বার্সেলোনা। এক প্রকার বাধ্য হয়েই নিজের সেরা সন্তানকে বিদায় দিলো ন্য ক্যাম্প।