পুরনো অব্যবহৃত কমোড, টায়ার, ডাবের খোসা, রংয়ের কৌটা ও চিপসের প্যাকেটের জন্য আর্থিক পুরস্কার ঘোষণা করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। পুরস্কার পেতে এসব কাউন্সিলর কিংবা আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসে জমা দিতে হবে।
শনিবার এক অনুষ্ঠানে মেয়র জানিয়েছেন, জমা দেওয়া প্রতিটি অব্যবহৃত কমোড ও টায়ারের জন্য ৫০ টাকা এবং প্রতিটি ডাবের খোসা, রংয়ের কৌটা ও চিপসের প্যাকেটের জন্য ৫ টাকা করে পুরস্কার দেওয়া হবে।
মেয়র বলেন, নিজেদের বাসাবাড়িতে ফুলের টব, অব্যবহৃত টায়ার, ডাবের খোসা, চিপসের খোলা প্যাকেট, বিভিন্ন ধরনের খোলা পাত্র, ছাদ কিংবা অন্য কোথাও যাতে তিন দিনের বেশি পানি জমে না থাকে সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। অব্যবহৃত এই জিনিসগুলো যত্রতত্র না ফেলে নিকটস্থ ওয়ার্ড কাউন্সিলর কিংবা আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসে জমা দিলে জমাদানকারীকে পুরস্কার দেওয়া হবে।
আতিকুল বলেন, ‘সবার ঢাকা’ মোবাইল অ্যাপস ব্যবহার করে এডিস মশার উৎপত্তিস্থল সম্পর্কে সবচেয়ে বেশী তথ্যবহুল ছবি সরবরাহকারীকেও পুরস্কৃত করা হবে।
নগরবাসীর উদ্দেশে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, সুস্থতার জন্য চলমান সামাজিক আন্দোলনকে আরও বেগবান করে জনসচেতনতার মাধ্যমেই এডিস মশা, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধ করতে হবে।
শনিবার গুলশানের নগর ভবনে সাংবাদিকদের সামনে এডিস মশা, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে ‘দশটায় ১০ মিনিট প্রতি শনিবার, নিজ নিজ বাসাবাড়ি করি পরিষ্কার’ স্লোগানটির গুরুত্ব ও তাৎপর্য ব্যাখ্যা করে তিনি এসব কথা বলেন।
মেয়র বলেন, নগরবাসীর কল্যাণে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৪৬টি নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বিনামূল্যে ডেঙ্গু রোগের পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এরপর আতিকুল ইসলাম রাজধানীর বনানী বিদ্যানিকেতন উচ্চ বিদ্যালয় এবং কালাচাঁদপুর হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ বেশ কয়েকটি কোভিড-১৯ টিকাদান কেন্দ্র সরেজমিনে পরিদর্শন করেন।
এ সময় অন্যদের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান এবং স্থানীয় কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন।