শেরপুর জেলার নকলা উপজেলায় ইউপি নির্বাচনের গৌড়দ্বার ইউনিয়নের পাইস্কা প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে খবর সংগ্রহ করার সময় নকলা পৌরসভার মেয়র হাফিজুর রহমান লিটন ও তার সহযোগীদের হামলায় নিউজ টোয়েন্টিফোর টেলিভিশন ও আজকের পত্রিকার শেরপুর প্রতিনিধি জুবাইদুল ইসলাম আহত হয়েছেন।
খবর পেয়ে জেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা মেয়রের শাস্তির দাবিতে শেরপুর-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করেন। পরবর্তীতে প্রশাসনের আশ্বাসে তারা অবরোধ তুলে নেন।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক জুবাইদুল ইসলাম জানান, তিনি পাইস্কা কেন্দ্রে ভোটের চিত্র সংগ্রহ করে ফিরছিলেন। এ সময় নকলা পৌরসভার মেয়র হাফিজুর রহমান তার পথ আটকে অতর্কিতভাবে হামলা করেন এবং তাকে ওই কেন্দ্র ত্যাগ করার জন্য হুমকি দেন। এ সময় মেয়রের সহযোগীরা তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করতে থাকলে হাতে থাকা ট্রাইপড ভেঙে যায় এবং ক্যামেরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এ ঘটনায় নকলা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) ইস্কাদার হাবিব বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। আপনাদের কোনো অভিযোগ থাকলে সেটি নির্বাচন কর্মকর্তাকে জানান। না হলে এই মহাসড়কে গাড়ির জ্যাম লেগে যাবে। যেহেতু এলাকায় নির্বাচন চলছে তাই আপনারা একটু আমাদের সহযোগিতা করুন।
এ বিষয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শানিয়াজ্জামান তালুকদার বলেন, আমরা সব সময় সাংবাদিকবান্ধব। উনাদের যে কোনো প্রয়োজনে আমি সহযোগিতা করি। বিশেষ করে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কোনো তথ্য বা বক্তব্য লাগলে আমি সেটি দেওয়ার চেষ্টা করি। তবে আজকের ঘটনাটি আমাদেরকে কষ্ট দিয়েছে। যদি পৌর মেয়র লিটন প্রকৃতপক্ষে কোনো ফৌজদারি অপরাধ বা আইন লঙ্ঘন করেন তাহলে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।