১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, শুক্রবার

মোনাজাতে নেতার নাম না বলায় তুলকালাম!

Advertisement

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে পিরোজপুরে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ শেষে দোয়া-মোনাজাত নিয়ে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের মধ্যে হট্টগোল ও ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। পরে পরিস্থিতি সামাল দিতে দোয়া-মোনাজাত পরিচালনা করে একে একে সবার নাম বলেছেন জেলা প্রশাসক আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন।

জানা যায়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও সেখানে দোয়া-মোনাজাতের আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে শুরু হয় দোয়া-মোনাজাত। দোয়া-মোনাজাত পরিচালনা করেন জেলা ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা মীর মো. ফারুক আব্দুল্লাহ। দোয়া-মোনাজাতের একপর্যায় শুরু হয় তুমুল হট্টগোল।মোনাজাত নেতা

দোয়া-মোনাজাতে স্থানীয় এমপির নাম উল্লেখ করা হলেও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সম্পাদকের নাম উল্লেখ না করার অভিযোগ তুলে হট্টগোল শুরু করে আওয়ামী লীগের একাংশ। এ নিয়ে শুরু হয় দু’পক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা ও ধাক্কাধাক্কি।

পরে সেখানে উপস্থিত জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। পরে জেলা প্রশাসক আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন দ্বিতীয় দফায় নিজে দোয়া-মোনাজাত পরিচালনা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। তিনি একে একে সবার নাম বলে মোনাজাত করেন।

জেলা প্রশাসক আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, প্রথম মোনাজাতে দু-একজন নেতার নাম না বলায় বিষয়টি নিয়ে কেউ কেউ প্রতিবাদ করেন। এ কারণে আমি দ্বিতীয়বার মোনাজাত করে সবার নাম বলি।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement