কোহিনুর আক্তার নামে একটি হত্যা মামলার আসামি হয়ে চট্টগ্রামে যার জন্য মিনু জেল খেটেছিলেন সেই মামলার মূল আসামি কুলসুমী আক্তার কুলসুমীকে গ্রেফতার করেছে চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালি থানা পুলিশ। আজ (২৯ জুলাই) বৃহস্পতিবার ভোরে নগরের পতেঙ্গা থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় কুলসুমীকে। কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ।
তিনি বলেন, ‘আজ (২৯ জুলাই) বৃহস্পতিবার ভোরে পতেঙ্গা থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে কোহিনুর আক্তার নামে এক গৃহকর্মী হত্যা মামলার আসামি কুলসুমী আক্তার কুলসুমীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মিনু নামে এক নারী গত তিন বছর ধরে তার হয়ে জেল খেটেছিলেন। কিন্তু চলতি বছরের ১৬ জুন আইনি প্রক্রিয়া শেষে মিনু কারাগার থেকে মুক্ত হন। তবে মুক্ত হওয়ার পর ২৮ জুন রাতে বায়েজিদ সংযোগ সড়কে তিনি দুর্ঘটনায় নিহত হন।’ ২০০৬ সালের জুলাই মাসে চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালি থানার রহমতগঞ্জে একটি বাসায় মোবাইলে কথা বলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গার্মেন্টসকর্মী কোহিনুর আক্তারকে গলা টিপে হত্যা করা হয়। তারপর তাকে একটি গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়।
তখন কোহিনুর আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি করেন কুলসুম আক্তার কুলসুমী। তারপর থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়। পুলিশ দুই বছর তদন্ত শেষে কোহিনুরকে হত্যা করা হয়েছে মর্মে প্রতিবেদন দিলে মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তর করা হয়। তারমধ্যে এক বছর তিন মাস জেল খেটে জামিনে মুক্তি পান কুলসুম।
২০১৭ সালের নভেম্বরে মামলার বিচার শেষে তৎকালীন অতিরিক্ত চতুর্থ মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো.নুরুল ইসলাম ওই হত্যা মামলায় আসামি কুলসুম আক্তার কুলসুমীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন। ২০১৮ সালের ১২ জুন ওই সাজার পরোয়ানামূলে কুলসুম আক্তার কুলসুমীর বদলি হয়ে মিনু কারাগারে যান।