মেসি এলো ফ্রান্সে, ২১ বছরের সম্পর্ক শেষে যোগ দিয়েলেন পিএসজিতে। এখানেই ঘাটি গেড়েছেন ব্রাজিলের কিংবদন্তি নেইমার জুনিয়ার,সে আবার মেসির খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধুও। শত্রুও আছে এই দলে, রামোস। দলে তিনি পেয়েছেন নিজ দেশের ডি মারিয়াকেও। ফ্রান্সের অন্যতম তারকা এমবাপ্পেও রয়েছেন এই দলেই। তবে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছেপিএসজিতেই নাকি যোগ দিতে যাচ্ছেন বিশ্ব ফুটবলের আরেক ত্রাস ক্রিস্চানিও রোনালদো।
বিশেষ করে ইউরোপিয়ান গণমাধ্যম গুলোতে শিরোনাম হয়েছে এমন, তুরিন ছেড়ে কোথায় যাবেন রোনালদো, রিয়াল মাদ্রিদ, ম্যানচেস্টার সিটি নাকি পিএসজিতে?
তবে স্পেনের গণমাধ্যম বলছে, তিনি নাকি আবার ফিরবেন রিয়ালে। এল চিরিঙ্গিতো জানিয়েছে, রিয়ালের কোচ কার্লো আনচেলত্তি রোনালদোকে দলে ভেড়ানোর জন্য চেষ্টার কমতি রাখছে না। রোনালদোর সাথে নিয়মিতই রাখছেন যোগাযোগ। স্থানীয় সাংবাদিক ফ্যাব্রিজিও রোমানোর ভাষায়, সাবেক শিষ্যকে পেতে আনচেলত্তি চেষ্টার কমতি রাখছেন না।
তবে রেনালদোকে পেতে আনচেলত্তিকে তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে রিয়াল সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজের দিকে। তিনি যদি চান তবেই সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে দেখা মিলবে রোনালদোর। কিন্তু এখন পর্যন্ত রিয়াল মাদ্রিদ জুভেন্টাসের কাছে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাবও পাঠায়নি।
রোনালদোকে পেতে মুখিয়ে ছিলো পিএসজিও, সেটাতে কিছুটা হলেও ভাটা পড়েছে দলের সাথে মেসি যুক্ত হওয়ার পর। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম গুলো বলছে আগামী বছর কিলিয়ান এমবাপ্পের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে পিএসজির। ওই সময়েই জুভেন্টাসের সাথে চুক্তি শেষ হবে রোনালদোর। যদি এমবাপ্পে দলের সাথে থাকতে না চায় সেই ক্ষেত্রে রোনালদোকে আনতে চাইছে তারা। ফরাসী তারকা এমবাপ্পে নিজেও চাইছেন পিএসজি ছেড়ে রিয়ালে যেতে।
ইতালিয়ান সংবাদমাধ্যম করিয়েল্লে দেল্লো স্পোর্ততে রেখা হয়েছে রোনালদোর পছন্তাদের তালিকায় রয়েছে ম্যানচেস্টার সিটির নাম। তবে ম্যানসিটির লক্ষ্য যেকোনো মূল্যেই হ্যারি কেইনকে দলে রাখা। এখন দেখার বিষয় রোনালদোর নতুন ঠিকানা এখন কোথায় হয়।