মহামারী করোনাভাইরাস সংক্রমণের উর্ধ্বগতি এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে আরেক দফা বিধি-নিষিধে বাড়ানো হচ্ছে বলে জানা গেছে। আবার কিছু ক্ষেত্রে শিথিল করা হতে পারে। সরকারি সূত্র জানিয়েছে আগামীকাল মঙ্গলবার আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় তা চূড়ান্ত হবে।
এ লক্ষ্যে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত বিষয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা ডেকেছে সরকার। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে অনলাইনে আগামীকাল (৩ আগস্ট) মঙ্গলবার বেলা ১১টায় এ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
আজ সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত চিঠি সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠানো হয়েছে। সে সভায় ১২ জন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, ১৬ জন সচিব, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, পুলিশ মহাপরিদর্শক, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তা, আইইডিসিআর পরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টরা অংশ নেবেন।
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে আটদিন বিরতি দিয়ে গত ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপ করে সরকার। যা শেষ হবে ৫ আগস্ট মধ্যরাতে। তারই মধ্যে গত ১ আগস্ট থেকে রপ্তানিমুখী শিল্প-কলকারখানা খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে মহামারী করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ার কারণে কঠোর বিধি-নিষেধ ফের বাড়ানোর আভাস পাওয়া গেছে।
এ নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চলমান কঠোর বিধি-নিষেধ শেষে নতুন করে যে বিধি-নিষেধ দেওয়া হবে তাতে সরকারি-বেসরকারি অফিস সীমিত পরিসরে খুলবে। অন্যদিকে গণপরিবহন সীমিত পরিসরে চালু করা হতে পারে। সে সময় রপ্তানিমুখী শিল্প-কলকারখানাও চালু থাকবে।
এদিকে, সম্প্রতি করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে চলমান লকডাউন আরো ১০ দিন বাড়ানোর সুপারিশ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম জানান, যেভাবে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাতে আমরা কীভাবে এ সংক্রমণ সামাল দেবো? রোগী যেভাবে বাড়ছে কোথায় আমরা তাদের জায়গা দেবো?
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে সবার সাথে আলোচনা করে বিভিন্ন প্রস্তাব আছে, সে প্রস্তাব বিবেচনা করে কীভাবে করলে এ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারি, তা আমাদের মূল লক্ষ্য-উদ্দেশ্য। কিন্তু আমাদের কাজকর্মগুলোর মধ্যে যেগুলো একেবারেই অপরিহার্য, সেগুলো চালানো। এছাড়া আর কী করলে ভালো হবে, তার জন্য আরেকটু সময় আমাদের লাগবে।