ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে দ্বিতীয় দফায় শেরপুরের ঝিনাইগাতী, নালিতাবাড়ী ও শ্রীবরদী উপজেলার শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৫০ হাজার মানুষ। এখনো অপরিবর্তিত রয়েছে শেরপুরের বন্যা পরিস্থিতি।
গবাদি পশু, শিশু ও বৃদ্ধদের নিয়ে বিপাকে প্লাবিত এলাকার মানুষ। নদীর বাঁধ ভেঙে ভেসে গেছে ঘর, আসবাবপত্র ও মুরগির খামার। উজানের পানি এখন নিচু এলাকায় নামতে শুরু করেছে। তবে বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে নতুন নতুন গ্রাম প্লাবিত হতে পারে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
এদিকে বন্যা দুর্গতদের সহায়তায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৬০ মেট্রিক টন চাল, ৩ লাখ টাকা ও ১৫০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। দুপুরে ঝিনাইগাতী উপজেলায় ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক সাহেলা আক্তার।
এ সময় তিনি বলেন, মহারশি নদীতে স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত রাখা হবে। পাশাপাশি যত দ্রুত সম্ভব পানি উন্নয়ন বোর্ডের ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধগুলো মেরামত করা হবে।