বার্সেলোনার সাথে ২১ বছরের সম্পর্ক শেষ হয়ে গেলো মেসির। সবকিছু ঠিকই ছিলো শুধু বাকি ছিলো চুক্তির আনুষ্ঠানিকতা। কিন্তু হঠাত ঝড়ে উলট পালট হয়ে গেলো মেসি ও বার্সেলোনার এত বছরের সম্পর্ক। ক্লাবের আর্থিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে মেসি অর্ধেক বেতনে ক্রাবে খেলতে রাজি হয়েছিলো, ক্লাব কর্মকর্তারাও মেসির এই সিদ্ধান্তে আনন্দিত ছিলো কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর চুক্তি হই করা হয়নি মেসির। দঃখ পেয়েছে দুই পক্ষই।
জুলাই মাসের ৩০ তারিখে ফ্রি এজেন্ট হয়ে যাবার পর মেসি ট্রান্সফার ফি ছাড়াই যেকোনো ক্লাবে যোগ দিতে পারবেন। এর আগে ইউরোপিয়ান বেশ কিছু ক্লাব তাকে নেওয়ার জন্য মুখিয়ে ছিলো কিন্তু এখন প্রশ্ন বার্সার সাথে সম্পর্ক শেষ হয়ে যাবার পর মেসিকে কারা খুঁজে নেয়।
২০২০ সালেই মেসি বার্সা ছাড়ার ঘোষনা দিয়েছিলো। তখন তাকে পাওয়ার দৌড়ে এগিয়ে ছিলো ফ্রেঞ্চ ক্লাব প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি), ইতালিয়ান ক্লাব ইন্টার মিলান ও ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটি। সেসময় পিএজজিকেই প্রাধান্য দিয়েছিলেন মেসি সেটাই গণমাধ্যমে জানিয়েছিলেন মেসির বাবা জর্জ মেসি। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মার্কার বলছে ইতালি বা ফ্রান্সের ৪টি ক্লাবের মধ্যে যেকোনো একটিতেই যাবেন লিওনেল। এই তালিকায় এখনও সবার উপরে রয়েছে পিএসজি।
এবচরের জুনে মেসির সাথে বার্সার চুক্তি শেষ হওয়ার পর থেকেই প্রতিনিয়ত মেসিকে প্রস্তাব দিচ্ছিলো এই ক্লাবের কর্তারা। মেসিকে দলে ভেড়াতে প্পিরতিনিয়ত তার সাথে যোগাযোগ করছিলেন এসজির ডিরেক্টর লিওনার্দো। মেসিরও সেখানে যাবার ইচ্ছে আছে কারণ সেখানে গেলেই মেসি পেয়ে যাবেন বার্সেলোনার সাবেক তারকা ও বন্ধু নেইমার জুনিয়র ও নিজ দেশের ফরোয়ার্ড অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়াকে।
মেসিকে দলে নেওয়ার দৌড়ে তৃতীয় দল হলো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও ইতালিয়ান ক্লাব জুভেন্টাস। ইউরোপীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে জুভেন্টাসে চির প্রতিদ্বন্দ্বী রোনাল্ডোর কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে প্রতিপক্ষকে ঘায়েলের মিশনে দেখা যেতে পারে মেসিকে।