১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, বুধবার

বঙ্গবন্ধু ছাড়া অস্তিত্বহীন বাংলাদেশ

Advertisement

বিশিষ্ট সাহিত্যিক নীরদ সি চৌধুরী বাঙালিদের ‘বিশ্বাসঘাতক’ হিসেবে বর্ণনা করে বলেছেন, বাঙালি জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা শেখ মুজিবকে হত্যার মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতি বিশ্বের মানুষের কাছে নিজেদের আত্মঘাতী চরিত্রই তুলে ধরেছে।

দ্য টাইমস অব লন্ডনের ১৯৭৫ সালের ১৬ আগস্ট সংখ্যায় উল্লেখ করা হয় ‘সবকিছু সত্ত্বেও বঙ্গবন্ধুকে সবসময় স্মরণ করা হবে। কারণ তাকে ছাড়া বাংলাদেশের বাস্তব কোনো অস্তিত্ব নেই। একই দিন লন্ডন থেকে প্রকাশিত ডেইলি টেলিগ্রাফ পত্রিকায় বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশের মানুষ শেখ মুজিবের জঘন্য হত্যাকাণ্ডকে অপূরণীয় ক্ষতি হিসেবে বিবেচনা করবে।’

পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট কাল রাতে ঘাতকদের হাতে বঙ্গবন্ধুসহ প্রাণ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল, শিশু শেখ রাসেলসহ পরিবারের ১৬ জন সদস্য ও আত্মীয়স্বজন।

এই মহান নেতার আত্মত্যাগ ও অর্জনকে ১৯৭৫ সালে হত্যার পর নিশ্চিহ্ন করার চক্রান্ত হয়েছিল। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করার পর সদম্ভে তাকে হত্যার কথা স্বীকার করেছিল খুনিচক্র। দম্ভভরে আত্মস্বীকৃত খুনি মেজর ফারুক বলেছিল ইচ্ছা করলে বাংলাদেশ সরকার আমার বিরুদ্ধে মামলা করতে পারে।

১৯৭৬ সালের ৩০ মে লন্ডনের ‘দি সানডে টাইমস’ পত্রিকায় প্রকাশিত এক নিবন্ধে সৈয়দ ফারুক রহমান স্বীকার করেছিল—বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ষড়যন্ত্রে সে জড়িত ছিল। ‘আই হেল্পড টু কিল মুজিব, ডেয়ার ইউ পুট মি অন ট্রায়াল?’ শিরোনামে প্রকাশিত এ নিবন্ধে সে দম্ভের সঙ্গে বলে ‘শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করার জন্য বাংলাদেশ সরকার ইচ্ছা করলে আমার বিরুদ্ধে মামলা করতে পারে।’…‘আমি শেখ মুজিবকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছি।’

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement