সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি-পিসিআর ল্যাবে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। এজন্য গত মঙ্গলবার থেকে ল্যাবের কার্যক্রম তিন দিনের জন্য বন্ধ রাখা হয়। ল্যাবের দেয়ালে করোনাভাইরাস জীবাণু ছড়িয়ে পড়ায় পরীক্ষাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ল্যাবটি ভাইরাসমুক্ত করার পর শনিবার (৩১ জুলাই) থেকে পুনরায় কার্যক্রম শুরু করা যেতে পারে বলে স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
হাসপাতাল সূত্র বলছে, গত সোমবার নমুনা পরীক্ষার সময় দুর্ঘটনাবশত পিসিআর ল্যাবে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় ল্যাবের সব নমুনার রিপোর্ট পজিটিভ আসলে অনুমান করে নেওয়া হয় যে সেখানে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। সন্দেহের রেশ ধরে দেয়াল থেকে নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করলে, ফলাফল পজিটিভ আসে। এ বিষয়টি নিশ্চিত হলে ল্যাবটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
ল্যাবটি ভাইরাসমুক্ত করার কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন সাফায়াত। আগামী শনিবার থেকে আবার নমুনা পরীক্ষার চেষ্টা করা হবে। ফলাফল সন্তোষজনক হলে ল্যাব পুনরায় চালু করা হবে। আর সন্তোষজনক না হলে ল্যাবটি আরও দুই দিন বন্ধ রাখা হবে। এদিকে, দুই মাস ধরেই সাতক্ষীরা, যশোর, মাগুরা ও নড়াইলের করোনা পরীক্ষার জন্য একমাত্র ল্যাব হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে এই সাতক্ষীরা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবটি। ল্যাবটিতে প্রতিদিন ৯৪ টি নমুনা পরীক্ষার ব্যবস্থা থাকলেও প্রায় দ্বিগুণ পরিমাণ পরীক্ষা করা হচ্ছে সেখানে।
অপরদিকে, করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় ল্যাবের ফ্রিজে সংরক্ষিত রাখা পাঁচ শতাধিক নমুনা পরীক্ষা করা নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে। খুলনা মেডিকেল কলেজের (খুমেক) পিসিআর ল্যাব কর্তৃপক্ষ এ পরিস্থিতিতে এসব নমুনা পরীক্ষা করতে না পারায়, ঢাকায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়।
ইতোমধ্যে সাতক্ষীরার ল্যাবে জমে থাকা নড়াইল ও মাগুরার বিপুল পরিমাণ নমুনা পরীক্ষা করে জট কমিয়ে আনার চেষ্টা করা হয়েছে বলে জানান সেখানকার সিভিল সার্জন। খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তরের সহকারী পরিচালক-(প্রশাসন) ডা. মুরশিদ নিশ্চিত করে জানান যে, ল্যাবটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।