সুনামগঞ্জের ছাতকে স্বামী ও ভাশুরসহ তিনজনের বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করেছেন এক গৃহবধূ। এ ঘটনায় জেলাজুড়ে চলছে সমালোচনার ঝড়।
ওই গৃহবধূ গত (২ অক্টোবর) পর্নোগ্রাফির অভিযোগ এনে মামলাটি করেন।
আদালত ৬৬৫নং স্মারক মূলে তার অভিযোগটি আমলে নিয়ে ছাতক থানাকে এফআইআর করার জন্য আদেশ দেন।
মামলার আসামিদের বাড়ি উপজেলার ভাতগাঁও ইউনিয়নের জালালপুর গ্রামে।
পুলিশ ও মামলাসূত্রে জানা যায়, প্রায় ১১ বছর আগে ছাতক উপজেলার ভাতগাঁও ইউনিয়নের জালালপুর গ্রামে ওই নারীর বিয়ে হয়। ওই গৃহবধূর স্বামীকে উসকানি দিয়ে দাম্পত্য কলহ লাগিয়ে রাখত ভাশুর। একপর্যায়ে ভাশুর বিভিন্ন প্রলোভনে ওই গৃহবধূকে একা পেয়ে জোরপূবর্ক ধর্ষণের চেষ্টা করে। ব্যর্থ হয়ে নানা অত্যাচার-নির্যাতন করে।
(১৬ ফেব্রুয়ারি) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ভাশুরের বিরুদ্ধে ওই গৃহবধূ একটি মামলা করেন। এ মামলায় তার ভাশুরের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন সুনামগঞ্জ আদালত। ভাশুরের বিরুদ্ধে মামলা তুলে নিতে তার স্বামী তাকে চাপ সৃষ্টি করে আসছে।
ভাশুরের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর গত (১৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ওই গৃহবধূর স্বামী তার নিজের আইডিতে স্ত্রীর ছবি এডিট করে অন্য একজনের সঙ্গে নগ্ন অবস্থায় একটি ছবি পোস্ট করেন। ওই পোস্টটি গৃহবধূর আত্মীয় একাধিক আইডিতে ট্যাগ করেন। গত (১৭ সেপ্টেম্বর) তার ভাশুর মেসেঞ্জারের মাধ্যমে একই পোস্ট গৃহবধূর ভাইসহ অন্যদের মোবাইলে ছড়িয়ে দেন।
ওই গৃহবধূর ম্যাসেঞ্জারে নগ্ন ছবি পাঠান অপর আসামি আকবর আলীও।
ভুক্তভোগী নারী বলেন, ভাশুরের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলেও তিনি প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তিনি যুবলীগ নেতা হওয়ায় পুলিশ গ্রেফতার করছে না।
নারীর অভিযোগ, ওই ছবি প্রকাশের পর তিনি মেয়েকে নিয়ে লোকলজ্জায় বাড়ি থেকে বের হতে পারছেন না। তিনি স্বামী-ভাশুরসহ আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন।
এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, ছাতক থানাধীন জাহিদপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাবইন্সপেক্টর পলাশ চন্দ্র দাশ মঙ্গলবার সকালে এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ মামলার প্রধান আসামি বাদীর স্বামী। তিনি ও ৩ নম্বর আসামি আলী আকবর প্রবাসে রয়েছেন।