২১ জানুয়ারি, ২০২৫, মঙ্গলবার

হেলেনা জাহাঙ্গীরের মুক্তি দাবি সেফুদা’র

Advertisement

অস্ট্রিয়া প্রবাসী আলোচিত সেফাত উল্লাহ সেফুদা গ্রেফতার হওয়া হেলেনা জাহাঙ্গীরের বাসায় অভিযানের বিষয়ে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন। এই ভিডিওতে তিনি অবিলম্বে হেলেনা জাহাঙ্গীরের মুক্তি দাবি করেন।

ভিডিও বার্তায় সেফাত উল্লাহ ওরফে সেফুদা বলেছেন, ‘আমার সঙ্গে হেলেনা জাহাঙ্গীরের দেখা হয়নি। তবে টেলিফোনে কথা হতো। হেলেনা জাহাঙ্গীর একজন স্মার্ট নারী, তিনি দুঃসাহসের সঙ্গে কথা বলতেন। অবিলম্বে এবং সম্মানের সঙ্গে হেলেনা জাহাঙ্গীরকে ছেড়ে দিতে হবে।’

সেফুদা আরও বলেছেন, ‘রাতে হেলেনার বাসায় র‌্যাব ঘেরাও করে তল্লাশি চালায়। ঘুম থেকে উঠে দেখি হেলেনাকে অ্যারেস্ট করা হয়েছে। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। আমার নাতি হেলেনা জাহাঙ্গীরকে অসম্মানজনকভাবে, একজন সিআইপিকে অ্যারেস্ট করা হলো। আমার ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেছে।’

সেফুদা বলেন, ‘হেলেনা জাহাঙ্গীরের মেয়ে আমার ভাগ্নি জেসির একটি সাক্ষাৎকার দেখলাম একটি টেলিভিশনে। হেলানাকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে তিলকে তাল করে র্যাদেরকে দিয়ে তছনছ করা হয়েছে। ভাবটা এমন যে, চোর ধরা পড়েছে। এখানে মধ্যরাত (অস্ট্রিয়া), ঘুম থেকে দুই ঘণ্টা আগে উঠে অনেক তথ্য নিয়েছি। হেলেনা জাহাঙ্গীরকে মিসগাইড করা হয়েছে। তাকে ছেড়ে দিন।’

এদিকে, শুক্রবার বিকেলে র‍্যাব সদর দফতরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘সম্প্রতি আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি পাওয়া হেলেনা জাহাঙ্গীর অস্ট্রিয়া প্রবাসী আলোচিত সেফুদাকে নাতি ডাকতেন। সেফুদার সঙ্গে তার নিয়মিত যোগাযোগ ছিল এবং তার সঙ্গে লেনদেনও ছিল হেলেনা জাহাঙ্গীরের।’

তিনি বলেন, ‘সেফুদা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের মাধ্যমে দেশবাসীর নজর কাড়তে চেষ্টা করেন। তার সঙ্গে গ্রেফতারকৃতের নিয়মিত যোগাযোগ ও লেনদেন রয়েছে বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়।’

খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘হেলেনা জাহাঙ্গীর অপকৌশলের মাধ্যমে নিজেকে ‘মাদার তেরেসা’, ‘পল্লীমাতা’, ‘প্রবাসীমাতা’ হিসেবে পরিচিতি পেতে জয়যাত্রা ফাউন্ডেশনকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেন। তার পৃষ্ঠপোষকতায় একটি সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া খেতাবের অপপ্রচার চালাত।’

র‌্যাবের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘বিভিন্ন দেশি-বিদেশি সংস্থা ও ব্যক্তিবর্গ থেকে জয়যাত্রা ফাউন্ডেশনের নামে অর্থ সংগ্রহ করতেন হেলেনা জাহাঙ্গীর। যা মানবিক সহায়তায় ব্যবহারের চেয়ে গ্রেফতারকৃতের খেতাব প্রচার-প্রচারণায় বেশি ব্যবহার করা হতো। হেলেনা বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ততা রেখে নিজের বিভিন্ন এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতেন। তিনি ১২টি ক্লাবের সদস্যপদে রয়েছেন।’

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement