কঠোর বিধিনিষেধে স্ত্রীকে হার্টের রোগী সাজিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় রওয়ানা দেয়ার পর পটুয়াখালির লেবুখালি ফেরিঘাটে মোবাইল কোর্টের কাছে ধরা খেয়েছেন দম্পতি। তারপর তাদের বাড়িতে ফেরত পাঠিয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ইউএনও শেখ আবদুল্লাহ সাদীদ। কঠোর লকডাউনের চতুর্থ দিন সোমবার রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার লেবুখালী ফেরিঘাটে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, উপজেলার লেবুখালী ফেরিঘাট হয়ে মাইক্রোবাস, অ্যাম্বুলেন্স ও পিকআপে যাত্রী পরিবহনের খবর পেয়ে গভীর রাতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ইউএনও শেখ আবদুল সাদীদ। এ সময় দ্রুতগতির একটি অ্যাম্বুলেন্স ঢাকার উদ্দেশে লেবুখালী ফেরিতে উঠার সময় হার্টের রোগী পরিচয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে চালক।
কথাবার্তায় সন্দেহ হলে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে সত্যিটা স্বীকার করেন দম্পত্তি। তারা ভ্রাম্যমান আদালতকে জানান, ঈদের ছুটিতে শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন। লকডাউনে ঢাকা যাওয়ার বিকল্প কোনো পথ না পেয়ে স্ত্রীকে হার্টের রোগী সাজিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে উল্টো পথে অ্যাম্বুলেন্স ঘুরিয়ে ফের শ্বশুরবাড়িতে ফিরে যেতে হয়েছে তাদের।
ইউএনও শেখ আব্দুল্লাহ সাদীদ সাংবাদিকদের জানান, সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনে বিধিনিষেধ অমান্য করে নানা কৌশলে গভীর রাতে অ্যাম্বুলেন্সসহ বিভিন্ন বাহনে দুমকিসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে যাত্রী পরিবহনের খবর পেয়ে অভিযান চালানো হয়। এ সময় একটি অ্যাম্বুলেন্স চেক করে তার ভিতরে এক প্রবাসী তার সুস্থ স্ত্রীকে হার্টের রোগী সাজিয়ে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে ঢাকা যেতে চেয়েছিলেন। পরে তাদের যেখান থেকে এসেছেন সেখানেই পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, করোনা সংক্রমণ রোধে ও লকডাউন বাস্তবায়নে প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।