ব্যাটিং নিয়ে বাংলাদেশের দুশ্চিন্তার কোন শেষ নেই। বাংলাদেশের ব্যাটাররা স্পিনও ভালো খেলতে পরেন না, খেলতে পারেন না স্পিনও। পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্টেও একই অবস্থা হওয়ার আশঙ্কা করছে বাংলাদেশর দলের নির্বাচক হাবিবুল বাশার। তিনি বলছেন, ঘরোয়া ক্রিকেটে শুধু ব্যাটিং বান্ধব উইকেটের দিক থেকে মনোযোগ কমিয়ে এখন পেস ও স্পিন দুই বিভাগের উপযোগী করে তোলে উইকেট বানানো হচ্ছে, যাতে কাটানো যায় ব্যাটিংয়ের দুর্বলতা।
তিনি আরও বলেন, ‘উইকেট নিয়ে রিকমেন্ডেশন সবসময় থাকে। অনেক আগে লো বাউন্স আর একটু টার্ন নিয়ে প্রথম শ্রেণির খেলা হত। গত ৩-৪ বছর ধরে আস্তে আস্তে পরিবর্তন হচ্ছে। আমরা পেসের পাশাপাশি স্পিন ট্র্যাকেও খেলতে চাই। স্পিন খেলা একটা শিল্প। সবসময় ফ্ল্যাট উইকেট চাই না।’
উপমহাদেশে তো বটেই, কখনও দেশেও প্রতিপক্ষ স্পিনারদের সামনে নড়বড়ে হয়ে যায় বাংলাদেশ। সেই দৈন্যতা কাটাতে এনসিএল-বিসিএলে বোলিং বান্ধব উইকেটের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
বাশার জানান, ‘আমরা চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতি চাই। এখন অনেক দলই তিন পেসার নিয়ে খেলে। উইকেটে এখন বোলারদের সহায়তা থাকছে। সবসময় পেস উইকেট হতে হবে এমন নয়। আমরা তো স্পিনটাও এত ভালো খেলতে পারি না, যখন উইকেটে বল স্পিন করে। তাই সেরকম উইকেটেও খেলতে হবে। আমরা আগে লো বাউন্স উইকেটে খেলতাম। সেটা স্পিন উইকেট ছিল না।’
বাশার আরও বলেন, ‘এরপর আমরা ফ্ল্যাট উইকেটে খেলেছি, এখন বোলিং বান্ধব উইকেট হচ্ছে। আশা করছি ভবিষ্যতেও এটা ধরে রাখতে পারব।’
ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের বর্তমান কার্যক্রমে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে সাবেক এই অধিনায়ক আরও জানান, ‘এখন ড্র কম হচ্ছে, বেশিরভাগ ম্যাচে ফলাফল আসছে। রান হচ্ছে, বোলাররাও উইকেট পাচ্ছে। পরিবর্তন কিন্তু হচ্ছে। হয়ত এখন বোঝা যাচ্ছে না। কিন্তু যেভাবে আমরা যাচ্ছি, এটার প্রভাব ২-৩ বছর পর দেখা যাবে। প্রক্রিয়াটা শুরু হয়ে গেছে। ভবিষ্যতে আমরা এর প্রভাব দেখতে পারব।’