করোনা মহামারির মধ্যে স্কুল-কলেজ ছাড়া সবকিছু খুলে দেওয়া হলেও মানুষের উপার্জন বাড়েনি। তবে জিনিসপত্রের দাম ঠিকই হু হু করে বাড়ছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে নতুন করে পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ৫ টাকা ও হলুদের দাম বেড়েছে ৩০ টাকা পর্যন্ত।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত সপ্তাহে যে হলুদের কেজি ১৮০ টাকা ছিল, সেটা শুক্রবার বিক্রি হচ্ছে ২১০ টাকা দরে। এদিকে সরকারি বিপণন সংস্থা টিসিবির তথ্য বলছে, গত এক সপ্তাহে হলুদের দাম কেজিতে বেড়েছে ১৪ শতাংশ।
অবশ্য আগের সপ্তাহেও হলুদের দাম বেড়েছিল কেজিতে ৪০ টাকার মতো। গত দুই সপ্তাহের তুলনায় দেশি হলুদের দাম বেড়েছে কেজিতে ৭০ টাকা। অর্থাৎ গত দুই সপ্তাহ আগে যে হলুদের দাম ছিল ১৪০ টাকা, এখন সেটা বিক্রি হচ্ছে ২১০ টাকা কেজি।
ব্যবসায়ীরা দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করছেন ৫০ টাকা থেকে ৫৫ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৪৫ টাকা। অর্থাৎ এক সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ৫ টাকা।
টিসিবির হিসাবে, গত এক সপ্তাহে প্রতিকেজি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রায় ১০ শতাংশ। একইভাবে দেশি আদার দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ টাকার মতো।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত সপ্তাহে যে আদার দাম ছিল ১৮০ টাকা কেজি, এই সপ্তাহে তা বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ১৯০ টাকা।
এদিকে দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে ব্রয়লার মুরগি, খোলা সয়াবিন তেল ও চিনি। বাজারে চিনির কেজি এখন ৮০ টাকা। অর্থাৎ এক সপ্তাহের ব্যবধানে চিনির দাম কেজিতে বেড়েছে তিন থেকে চার টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে কেজিতে ৫ টাকা। এক কেজি ব্রয়লার মুরগি কিনতে এখন ১৪০ টাকা লাগছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ১২৫ থেকে ১৩৫ টাকা।
রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১৩৮ থেকে ১৪০ টাকা। মসুর ডাল ১০০ থেকে ১০৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে খুচরা বাজারে মিনিকেট ৬২ থেকে ৬৫, আটাশ ৫০ থেকে ৫৫, স্বর্ণা ৪৭ থেকে ৫০ ও নাজিরশাইল চাল ৬৫ থেকে ৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে কাঁচা মরিচের দাম প্রতিকেজি ৮০ টাকায় নেমেছে। এছাড়া আগের মতোই সবজির দাম।
সরকারি বিপণন সংস্থা টিসিবির তথ্য বলছে, গত এক বছরে আমদানি করা রসুনের দাম বেড়েছে ৭০ শতাংশ।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত বছরের এই সময়ে আমদানি করা রসুনের দাম ছিল ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি। সেই রসুনের দাম এখন প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে হয়েছে ১১০ টাকা থেকে ১২০ টাকা কেজি।
একইভাবে গত বছরের এই সময়ে দেশি হলুদের দাম ছিল ১৪০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা। এখন সেই হলুদ বিক্রি হচ্ছে ২১০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া ২০২০ সালের এই সময়ে ৬৫ থেকে ৭০ টাকায় এক লিটার খোলা পামওয়েল পাওয়া যেতো। এখন সেই পামওয়েল বিক্রি হচ্ছে ১১৪ থেকে ১১৬ টাকা দরে।
গত বছরে যে পাম অয়েলের (সুপার) দাম ছিল ৭১ থেকে ৭৫ টাকা, তা এখন বিক্রি হচ্ছে ১১৬ টাকা থেকে ১২০ টাকা লিটার দরে।