১৮ মার্চ, ২০২৫, মঙ্গলবার

হাইকোর্টে জামিন পাননি ছাত্রলীগ নেতা

Advertisement

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কটূক্তির অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা মামলায় আটক তরিকুল ইসলামকে জামিন দেয়নি হাইকোর্ট। আওয়ামী লীগের প্রথম সারির নেতা আমির হোসেন আমু ও তাঁর মেয়ে সুমাইয়া হোসেনকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কটূক্তির অভিযোগ উঠেছিল ছাত্রলীগের সাবেক এই নেতার বিরুদ্ধে। বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি জনাব জেবিএম হাসান ভার্চুয়াল একক বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এ সময় আসামীর পক্ষে কৌসুলী ছিলেন এসকে ইউসুফুর রহমান ও রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।

আইনজীবী এসকে ইউসুফুর রহমান আদালতকে বলেন যে, তরিকুলের নাম মামলার প্রাথমিক তথ্য বিবরণীতে ছিল না। তাকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয় এবং মামলার এক নম্বর আসামী মোঃ রাব্বী জামিনে মুক্তি পেলেও তরিকুল বিগত পাঁচ মাস যাবত জেলহাজতে আছে। তিনি আরও বলেন যে, এফআইআর-এ কুরুচীপূর্ণ বক্তব্যের কথা বলা হলেও সেটা কি বক্তব্য তা উল্লেখ করা হয়নি। এ অবস্থায় আসামীর জামিন প্রার্থনা করেন তার বিজ্ঞ কৌশুলী। শুনানির সময় আদালত দেখেন যে আসামীর বিরুদ্ধে সাতটি মামলা চলমান রয়েছে। পরে আদালত অভিযুক্তকে জামিন না দিয়ে আবেদনটি কার্যতালিকা থেকে বাতিল করেন।

এর আগে ৫ ডিসেম্বর ঝালকাঠি জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ রাব্বী তার নিজস্ব ফেসবুক আইডিতে আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা ও সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু ও তার মেয়েকে নিয়ে কুরুচীপূর্ণ মন্তব্য করেছিলেন। এ ঘটনায় জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আ স ম মোস্তাফিজুর রহমান মনু ৬ ডিসেম্বর রাতে ঝালকাঠি থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। উক্ত মামলাকে কেন্দ্র করে এ বছরের ৯ই এপ্রিল অভিযুক্ত তরিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে ঝালকাঠি থানার পুলিশ।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement