১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, শনিবার

৫ আগস্টের পর হোটেল-রেস্তোরা খোলার দাবি

Advertisement

চলমান কঠোর বিধিনিষেধ শেষে আগামী ৫ আগস্টের পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে হোটেল-রেস্তোরাঁ স্বাভাবিক নিয়মে খোলার অনুমতি চেয়েছেন মালিকরা। তা সম্ভব না হলেও অন্তত অর্ধেক আসনে বসিয়ে চালু করতে দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।

আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে আয়োজিতে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি এ দাবি জানায়। তবে সে ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর নিকট কিছু প্রস্তাবনাও তুলে ধরা হয়।

সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান। তিনি বলেন, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের আঘাতে রেস্তোরাঁ সেক্টর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত করোনারভাইরাসের কারণে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী কখনো অর্ধেক আসনে বসিয়ে আবার কখনো শুধু অনলাইন/টেকওয়ের মাধ্যমে আমাদের ব্যবসা সীমিত রেখেছি। এভাবে টেকওয়ে দিয়ে ব্যবসা চালানো সম্ভব নয়।

সম্মেলনে বলা হয়, ‘এখন শুধুমাত্র টেকওয়ে চলছে। আর টেকওয়েতে তো বিক্রি হচ্ছে না। রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীরা এখন দিশাহারা এমনকি বর্তমানে নানা সমস্যায় জর্জরিত। তবে বর্তমানে শুধু অনলাইন ডেলিভারির সুযোগ দিয়ে রেস্তোরাঁ বন্ধ রাখার ঘোষণাটি দুরভিসন্ধিমূলক। তাতে কোণঠাসা করা হচ্ছে দেশীয় ব্যবসায়ীদের । তবে এখানে দেশি-বিদেশি স্বার্থান্বেষী মহলের হাত রয়েছে। তারা টেকওয়ে ব্যবসা জনপ্রিয় করে তাদের হাতে ব্যবসা নিতে চাচ্ছে।

তবে রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি জানায়, দেশে প্রায় ৬০ হাজার রেস্তোরাঁয় ৩০ লাখ কর্মকর্তা-কর্মচারী ও প্রায় দুই কোটি মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ত রয়েছে। সম্পৃক্ত সবাই এখন মানবেতর জীবন-যাপন করছে। এখন সারা দেশে প্রায় শতকরা ৮০ ভাগ রেস্তোরাঁ বন্ধ রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে রেস্তোরাঁ খুলে দেওয়ার পাশাপাশি অন্যান্য প্রস্তাবনায় বলা হয়, করোনার এই সময়ে হোটেল-রেস্তোরাঁ ব্যবসাকে চলমান রাখার জন্য রানিং ক্যাপিটাল হিসেবে এসএমই খাত থেকে এই সেক্টরে ২০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদান করুন। তা সহজশর্তে, স্বল্পসুদে জামানতবিহীন এবং দীর্ঘমেয়াদি ঋণ হবে। তাছাড়া রেস্তোরাঁ খাতটি একটি সেবা খাত, তাই মালিক-শ্রমিকদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করোনার টিকা প্রদান করা জরুরি। তবে এ বিষয়ে সুদৃষ্টি দেবেন এটাই আমাদের দাবি।
সমিতির পক্ষ থেকে আর বলা হয়েছে, এ খাতে (হোটেল-রেস্তোরাঁ) কর্মরত শ্রমিকদের প্রণোদনা প্রদান করতে হবে। তাছাড়া ই-কমার্স টেকওয়ে, পার্সেল ও অনলাইন ডেলিভারির ক্ষেত্রে বহির্বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ কমিশন করা এবং একটি সঠিক নীতিমালা প্রণয়ন করে বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement