বরিশালে বিভাগে করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরো ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ সহ (শেবাচিম) বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে করোনা ইউনিটে মারা গেছেন তাঁরা। মৃত ২০ জনের মধ্যেকরোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ৯ জন ও করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১১ জন। সে সময় নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছেন ৪৭৯ জন।
এসব তথ্য আজ (৮ আগস্ট) রোববার সকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক ডা.বাসুদেব কুমার দাস জানিয়েছেন।
ডা.বাসুদেব কুমার দাস আরও জানান, শেবাচিম হাসপাতালের গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা উপসর্গ নিয়ে ৯ জন এবং করোনায় আক্রান্ত ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাছাড়া বিভাগের আরো ৯ জন বিভিন্ন জেলা-উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত ১১ জনের মধ্যে বরিশাল জেলায় ৩ জন, পটুয়াখালী জেলায় ৩ জন, ভোলা জেলায় ৪ জন ও পিরোজপুর জেলার ১ জন রয়েছেন। সব মিলিয়ে বরিশাল বিভাগে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৪৭ জনে। সে সময় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪৭৯ জন। এ পর্যন্ত বিভাগে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৮ হাজার ২৯৬ জনে। এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ২০ হাজার ৭৪১ জন।
বরিশাল জেলায় নতুন ১৭৭ জন নিয়ে মোট ১৫ হাজার ৭৮৩ জন, পটুয়াখালী জেলায় নতুন ৭১ জন নিয়ে মোট ৫ হাজার ২১১ জন, ভোলা জেলায় নতুন ৯৬ জনসহ মোট ৪ হাজার ৯৪৭ জন, পিরোজপুর জেলায় নতুন ৫৭ জনসহ মোট ৪ হাজার ৭৪৪ জন, বরগুনা জেলায় নতুন ৬১ জনসহ মোট ৩ হাজার ৩১০ জন ও ঝালকাঠি জেলায় নতুন ১৭ জন নিয়ে মোট ৪ হাজার ৩০১ জন রয়েছেন।
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (শেবাচিম) পরিচালকের দপ্তর সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে ৯ জনের এবং করোনা ওয়ার্ডে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত শুধু বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের (শেবাচিম) আইসোলেশন ওয়ার্ডেই উপসর্গ নিয়ে ৮৬৯ জন এবং করোনা ওয়ার্ডে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৩৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করা ৮৬৯ জনের মধ্যে ১১৫ জনের করোনা সন্দেহে নমূনা পরীক্ষার রিপোর্ট এখনও পাওয়া যায়নি।
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (শেবাচিম) পরিচালক কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় আজ (রোববার) সকাল পর্যন্ত শেবাচিমের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে ২৭ জন ও করোনা ওয়ার্ডে ৬ জন ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে করোনা ও আইসোলেশন ওয়ার্ডে এখন চিকিৎসাধীন ২৮০ জন।