বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) প্রায়ই যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কাছে নানা পরিকল্পনা-প্রস্তাবনা দেয়। এবারের প্রস্তাবনা বেশ বড় অঙ্কের। ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কাছে তাদের চাহিদা ৪৫০ কোটি টাকা।
বাফুফের এই চাহিদাকে গুরুত্ব দিয়েছে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। ইতোমধ্যে প্রাথমিক সভা করেছে। আজ (বৃহস্পতিবার) জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে এ নিয়ে একটি কর্মশালাও হয়েছে। সেখানে সাবেক ফুটবলার, ফুটবল সংশ্লিষ্টরা অংশ নেন। পাঁচটি বিষয়ের উপর পাঁচ গ্রুপ এতে অংশ নেন। গ্রুপে ছিলেন ফুটবলসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরাই। গ্রুপ স্টাডির পর সেটি আবার পয়েন্ট আকারে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল ও বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের সামনে তুলে ধরেন। এই কর্মশালায় বক্তব্য রেখেছেন বাফুফের তিন নির্বাহী সদস্য সত্যজিৎ দাশ রুপু, বিজন বড়ুয়া ও নুরুল ইসলাম নুরু। আরো কয়েকজন সদস্য এই কর্মশালায় থাকলেও সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং চার সহ-সভাপতির মধ্যে কেউ ছিলেন না।
বাফুফে সভাপতি ফুটবলে অর্থের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে বলেন, ‘ট্রান্সফার মার্কেটে একজন ফুটবলারের ফি তিন হাজার কোটির উপর। ফুটবলে কি পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ হয় বোঝাই যাচ্ছে।’ ফুটবল উন্নয়ন ও গতিশীলতার জন্য ৪৫০ কোটির চাহিদা বাফুফের। সেটা অনুমোদন হলে বছরে ৯০ কোটি টাকার মতো পাবে বাফুফে। প্রতি বছর ৯০ কোটি টাকা আসলেও দেশের ফুটবল যে উন্নয়ন হবেই এমন নিশ্চয়তা দিতে পারছেন না বাফুফে সভাপতি, ‘আমাদের চেষ্টা করতে হবে। সেই চেষ্টার এটা একটা মাধ্যম।’
৪৫০ কোটি টাকা অনেক বড় প্রকল্প। চলতি বাজেটে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের যে বরাদ্দ এতে নেই এই বিষয়টি। এরপরও এই অর্থ বছর থেকেই কার্যকর করার উদ্যোগ নেবে মন্ত্রণালয়, ‘এই বাজেটে না থাকলেও বিষয়টি সমন্বয় করার জন্য আমরা চেষ্টা করব। আশা করি এই বছরের শেষের দিক থেকে কাজ শুরু করা যাবে।’
আজকের সভায় প্রিমিয়ার লিগ, জাতীয় দলের অনুশীলন, একাডেমি সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সুপারিশ রাখা হয়েছে। সেই সুপারিশগুলো পরবর্তী সভায় পর্যালোচনা হবে। ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিবের সভাপতিত্বে একটি সভা ও মন্ত্রীর সভাপতিত্বে আরেকটি সভা অনুষ্ঠিত হবে। আজকের কর্মশালাটি প্রকল্পের একটি ধাপ। বড় প্রকল্প অনুমোদনের ক্ষেত্রে এ রকম কর্মশালা বাধ্যতামূলক।