২৯ মার্চ, ২০২৪, শুক্রবার

আগ্রহ বাড়ছে রঙিন ফুলকপি চাষে

Advertisement

দেশের বিভিন্ন এলাকায় চাষ হচ্ছে রঙিন ফুলকপি। দেখতে যেমন সুন্দর, খেতেও বেশ। পুষ্টিগুণ সাধারণ ফুলকপির চেয়ে বেশি। ফলন ও মুনাফা ভালো হওয়ায় চাষীদের মধ্যেও বাড়ছে আগ্রহ। রঙিন ফুলকপি চাষের সম্ভাবনা দেখছে কৃষিবিভাগ। 

মাঠজুড়ে বাহারী ফুলকপি। কোথাও বেগুনী, কোথাওবা হলুদ। আছে লাল-সবুজের শোভাও। নানা রঙের ফুলকপি চাষ হচ্ছে দেশের বিভিন্ন এলাকায়। ক্রেতাদের নজর কাড়ছে; চাষীরাও পাচ্ছেন দাম।  

চট্টগ্রামে সীতাকুণ্ডে ছলিমপুরে প্রথমবারের মতো রঙিন ফুলকপির চাষ শুরু হয়েছে। কৃষি বিভাগের সহায়তায় পরীক্ষামূলকভাবে হলুদ ও বেগুনি রঙের ফুলকপির চাষ করেছেন কৃষক জাহাঙ্গীর আলম। 

ছলিমপুরের কৃষক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “খুচরা-পাইকারীতে বিক্রি বেড়েছে, একটা ১শ’ টাকা বললেও কিনছে ক্রেতা।”

রঙিন ফুলকপি চাষে সফলতা পেয়েছেন মাগুরার হাজরাতলা গ্রামের কৃষক সুশেন বালাও। তাঁর বিশ শতক জমিতে যেন রঙয়ের মেলা বসেছে।   

মাগুরা কৃষক সুশেন বালা বলেন, “এতো সুন্দর কালার হয়েছে যে পার্শ্ববর্তী গ্রাম এবং পার্শ্ববর্তী জেলা থেকেও আমার ক্ষেত দেখতে লোকজন আসছে।”

সুশেনের সাফল্য দেখে রঙিন কপি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন আশেপাশের কৃষকরাও।

ক্রেতারা বলেন, “সাদা কফির চেয়ে এটা খেতে আলাদা ধরনের স্বাদ।”

নেত্রকোনার বারহাট্টার বেশকজন কৃষক চাষ করেছেন বাহারি ফুলকপি। সবুজ, হলুদ ও বেগুনি রঙের কপি চাষ করে সফলতা পেয়েছেন চাষীরা। ফলন ও দাম ভালো হওয়ায় আগ্রহী হচ্ছেন অনেকে।

চাষীরা জানান, উৎপাদন করে এলাকায় সুনাম অর্জন করেছি এবং বাজারমূল্যও ভালো পাচ্ছি। বর্তমানে বাজারে প্রতিপিস কফি ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কৃষিতে বৈচিত্র আনার পাশাপাশি আধুনিক চাষাবাদে কৃষককে উদ্বুদ্ধ করতে নানা উদ্যোগ নিচ্ছে কৃষিবিভাগ। 

চট্টগ্রাম উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হাবিবুল্লাহ বলেন, “পুষ্টির ভান্ডার হয় যে সবজিগুলো এর মধ্যে কোনটায় ভিটামিন-এ আছে কোনটায় ভিটামিন-বি আবার কোনটায় ভিটামিন-সি আছে।”

নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রাকিবুল হাসান বলেন, “এবছর বিভিন্ন কৃষক দ্বারা ৫০ শতক জমিতে আবাদ করেছি। দিন দিন এটা জনপ্রিয় হচ্ছে এবং বাজার মূল্যও ভালো।”

অ্যান্থোসায়ানিন থেকে রঙিন হয়ে ওঠে ফুলকপি। এটি মস্তিস্কের জন্য খুবই ভালো। সাধারণ ফুলকপির তুলনায় পঁচিশ শতাংশের বেশি বিটা ক্যারেটিন রয়েছে, যা ত্বক ও চোখ ভালো রাখে।

সীতাকুণ্ড উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সুপর্ণা বড়ুয়া বলেন, “চোখের দৃষ্টি শক্তি, ফুল থেকে রক্ষা আর ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক।”

এছাড়া রঙিন ফুলকপিতে রয়েছে নানা ভিটামিন ও মিনারেল। পর্যাপ্ত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় ক্যান্সার ও হৃদরোগের ঝুঁকিও কমায় রঙিন ফুলকপি।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement