২০ এপ্রিল, ২০২৪, শনিবার

রংপুর মহানগর আ. লীগের উপদেষ্টা লাঞ্ছিত

Advertisement

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিনের অনুষ্ঠানে দলীয় লোকজনের হাতে রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও জেলা মটর মালিক সমিতির সভাপতি একেএম মোজাম্মেল হক লাঞ্ছিত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। 

মোজাম্মেল হক দাবি করেন, দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার সময় মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাফিউর রহমান সফির ইন্ধনে যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক খাইরুল কবির চাঁদ তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন এবং মারমুখী আচরণ করেন। ২৯ সেপ্টেম্বর, বুধবার বিকেল ৩টার দিকে রংপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন একেএম মোজাম্মেল হক। 

লিখিত বক্তব্যে মোজাম্মেল হক বলেন, আমি ও আমার পরিবার দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। রংপুরে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রমকে বেগবান করতে পৃষ্টপোষকতা করে আসছি। মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিনে মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশ নিই। আলোচনা সভায় মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা হিসেবে আমি বক্তব্য দেওয়ার ইচ্ছা পোষণ করি। কিন্তু সভায় আমাকে বক্তব্য দেওয়ার কোনো সুযোগ দেওয়া হয়নি।

আলোচনা শেষে দুই মিনিট অনুভূতি ব্যক্ত করার সুযোগ দেওয়া হলে আমি মাইক্রোফোন হাতে বক্তব্য শুরু করি। তখন মহানগর  আওয়ামী লীগের সভাপতি সাফিউর রহমান সফির ইশারায় আমার হাত থেকে মাইক্রোফোন ছিনিয়ে নেন যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবির চাঁদ। পরে সাফিউর রহমান সাফি আমাকে ধাক্কা দিয়ে আমার ওপর চড়াও হন। এ সময় দলের অন্য নেতাকর্মীরা আমাকে উদ্ধার করে নিরাপদ জায়গায় নেন। এ ঘটনায় আমি মর্মাহত ও শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছি। বর্তমানে চরম উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠায় রয়েছি। এ ধরনের অশালীন কার্যক্রমে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে।

সংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে একেএম মোজাম্মেল হক জানান, তাকে লাঞ্ছিত ও হেনস্থা করার পেছনে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাফিউর রহমান সফি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম রাজুর মদদ রয়েছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের হস্তক্ষেপ দাবি করেন তিনি।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement